ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কেশবপুরে কুটির শিল্পে মন্দাভাব

সিদ্দিকুর রহমান কেশবপুর (যশোর)
🕐 ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২০

যশোরের কেশবপুরে আলতাপোল গ্রামটি কুটির শিল্পের গ্রাম নামে পরিচিত। করোনাকালীন সময়ে কুটির শিল্পে মন্দাভাব থাকায় ভালো নেই সেখানকার মালিক ও শ্রমিকরা। কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন কুটির শিল্পের শ্রমিকরা। করোনার সময় থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পায়নি।

সরেজমিন জানা যায়, কেশবপুরর আলতাপোল গ্রামে কাঠের তৈরি মোমদানি, ফুলদানি, মেয়েদের চুরির আলনা, কলস, বাটি, পাউডার কেস, বইয়াম, ডিম সেট, আপেল সেট, হারিকেন, পেন্সিল ফুলদানি, চরকা, খুনতি, হামাম, পিঁড়ি, বেলুন, সিগারেটের এসট্রে, লেবু চাপা, ব্যাংক, সিঁদুরের কৌটা, ধামাপাতি, কয়েলদানি, টিফিন বক্স ও ট্রফিসহ বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি হয় এখানে। দেখলে যেমন মন কাড়ে, তেমনি এসব সামগ্রী তৈরির কাজ তথা কুটিরশিল্প বদলে দিয়েছে হাজারো বেকার মানুষের ভাগ্য।

এসব কারখানার মালিক-শ্রমিক, কাঠ ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কমপক্ষে তিন হাজার লোক জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে বিক্রি কম থাকায় কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকরা।

পাশ্ববর্তী তেইশমাইল, কর্ন্দপপুর ও মঙ্গলকোট গ্রামের অনেক মানুষ এ শিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এ তিন গ্রামে অন্তত দুইশ’টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মালিক-শ্রমিক, কাঠ ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কমপক্ষে তিন হাজার লোক জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামটির শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িতেই কুটিরশিল্প কারখানা রয়েছে।

ভাই ভাই কুটির শিল্পের মালিক কবির হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে ব্যবসায়ে মন্দাভাব থাকায় বিভিন্ন স্থানে কুটির শিল্পের উপকরণ সরবরাহ করতে পারছি না। সরকারি প্রণোদনা পেলে এ শিল্প বাঁচানো সম্ভব।

কুটির শিল্পের শ্রমিক সাঈদ উর রহমান বলেন, করোনার পূর্বে প্রতিদিন কাজের পারিশ্রমিক অনুযায়ী চারশ থেকে পাঁচশ টাকা মজুরি পেতাম । কিন্তু বর্তমানে কাজ কম থাকায় এক থেকে দেড়শ টাকা পাই। যা দ্বারা সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কাঠ শ্রমিক হাসানুর রহমান, আলম ও অনুপদেব নাথ বলেন, করোনাকালীন সময়ে কাজ নেই বললেই চলে। কেউ কোনো সহযোগিতা করছে না। প্রতিটি কাজের ওপর ভিত্তি করেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।

 

 
Electronic Paper