ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২০

আগাম জাতের চাষ করা মূলকাটা পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষীরা। ভোক্তা চাহিদা সম্পন্ন পেঁয়াজ চাষীদের অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় পেঁয়াজ চাষ করে বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। বর্তমান বাজাওে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় লাভের আশায় দৌলতপুরের চাষীরা পেঁয়াজ চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলতি মৌসুমে জেলায় দুই হাজার পাঁচশ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও বেশি দাম পাওয়ার আশায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলকাটা পেঁয়াজ সবচেয়ে পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে জেলার দৌলতপুরে। ইতোমধ্যে এক হাজার নয়শ পঞ্চাশ হেক্টরের বেশি জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। কদিন পরেই স্বপ্নের অর্থকরী সোনালী ফসল পেঁয়াজ ঘরে তুলবেন চাষীরা। সে আশায় পেঁয়াজের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এ বছর বীজের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষিদের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা না হলে লাভের মুখ দেখবেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলার স্বরুপপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী নিজাম উদ্দিন জানান, এ বছর মূলকাটা পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি হওয়ায় চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। বাজার মূল্য ৫০ টাকা কেজির কম হলে পেঁয়াজ চাষে লোকসান গুনতে হবে। তবে পেঁয়াজ চাষিদের বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়ায় পেঁয়াজ চাষ ভাল হয়েছে এবং ফলনও ভাল হবে এমন আশা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।

আর এমটাই জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সজিব আল মারুফ। চড়ামূল্যের বাজারে চাষিদের উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে উচ্চমূল্যের ঝাঁজ কমবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের কৃষকসহ সর্বসাধারণ।

 

 

 
Electronic Paper