ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চুয়াডাঙ্গায় ব্যাংক ডাকাতি

নিরাপত্তা নিয়ে নানা অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
🕐 ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফিল্মি স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ওই শাখায় সিসি ক্যামেরা না থাকা, ডাকাতির সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কিছুই না থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না সেদিনে উপস্থিত ব্যাংকের গ্রাহকরা।

অবশ্য ডাকাতির দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ খুলনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি ক্রাইম) মো. নাহিদুল ইসলাম। তারপরও গতকাল সোমবার ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক হন।

আটকরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের রহমানের ছেলে জনি (২৫), দেলবারের ছেলে কালু (২৮) এবং হাসমত আলীর ছেলে হৃদয় (২৮)। এদিন সকাল থেকে ডাকাতির ঘটনার ক্লু উদ্ধারে সাদা পোশাকে র‌্যাব, সিআইডি, ডিজিএফআই, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, উথলী বাজারে সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ উথলী বাজার শাখায় কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। এছাড়া ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা দুজন নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে একটি লাঠি পর্যন্ত ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উথলী বাজারের এক দোকানি বলেন, ব্যাংক চলাকালীন অধিকাংশ সময় নিরাপত্তা প্রহরীরা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে থাকেন। ব্যাংকে নিরাপত্তার চরম ঘাটতি আছে।

এদিকে ডাকাতি ঘটনার খবর পেয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে খুলনা বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি ক্রাইম) মো. নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ব্যাংক চালানোর জন্য এ ভবন মোটেও উপযুক্ত না।

আজকের এ ঘটনা আমাদের জন্য অনাকাক্সিক্ষত। আমার ধারণা এ জেলার মধ্যেই অপরাধীদের অবস্থান। আমরা আশাবাদী অল্প সময়ের মধ্যে আসামি ধরতে পারব। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি আছে। ব্যাংকের মতো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটা সিসি ক্যামেরাও নেই। বর্তমান যুগে এটা ভাবা যায় না।

গত রোববার রোববার দুপুর ১টার দিকে হেলমেট পরা অস্ত্রধারী চার-পাঁচজন ব্যাংকে ঢুকে প্রহরীসহ ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করে লুটতরাজ চালায়। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাত দল প্রায় আট লাখ টাকা লুট করে। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। দোষীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

 
Electronic Paper