ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঝোপের মধ্যে মিলল হাত-পা-মুখ বাঁধা তরুণী

জেলা প্রতিনিধি
🕐 ৪:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে।

১৭ অক্টোবর, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নড়াইল শহরের কুরিগ্রামে চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশের একটি ঝোপ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ছাত্রীর বাড়ি কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নে। তাকে উদ্ধারের পর অজ্ঞান অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফেরে।

মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সঙ্গে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এর পর তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয়, মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক নারী কণ্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে ফোন করে জানায় সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

তিনি আরও বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠে সে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরলে তার আর কিছু মনে নেই।

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আরএমও মশিউর রহমান বাবু বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তার সকল ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দু’একদিন সময় লাগবে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন জানান, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি অজ্ঞাত। কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে আসামিদের চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper