ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খুলনায় চার হাসপাতালে করোনা ইউনিট

খুলনা ব্যুরো
🕐 ৯:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০২০

খুলনায় চারটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। এসব হাসপাতালে ৫০টি আলাদা বেড প্রস্তুত করে করোনা ইউনিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত আরও দুটি হাসপাতালেও করোনা ইউনিট চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত খুলনা জেলা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয়, খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অংশে ৫০টি করে শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চিকিৎসাসেবা চালু করা হবে। পাশাপাশি খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি শয্যা অতি দ্রুততার সঙ্গে উপযোগী করতে সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের আওতায় খালিশপুরের লাল হাসপাতাল এবং তালতলা হাসপাতাল করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি-না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

খুলনায় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় আরও একটি পিসিআর ল্যাব এবং কোভিড হাসপাতালে দ্রুত হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও উপযুক্ত জায়গা পেলে খুলনার রোটারি ক্লাব কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জন্য ১০০টি শয্যার যাবতীয় চিকৎসা সরঞ্জামাদি দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় বলা হয়, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের করোনা শনাক্তের পরীক্ষার রিপোর্ট (নেগেটিভ ও পজিটিভ উভয় ক্ষেত্রে) অতি দ্রুততার সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে সিভিল সার্জনের দফতর জানানোর ব্যবস্থা করবে। ঘোষিত তিনটি রেড জোন ১৪ দিন পরে ইয়োলো জোনে রূপান্তরিত হলো কি-না তা অনুসন্ধান করা হবে। রোটারি ক্লাব করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করবে।

সভায় কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতা সীমিত। এ কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের একটি অংশে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সভায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মু. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা প্রমুখ।

 
Electronic Paper