ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পশুর দাম নিয়ে শঙ্কা

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
🕐 ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২০

ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খামারিদের দুশ্চিন্তা ততই বেড়ে চলেছে। কারণ বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও কমেনি। বরং বাংলাদেশে আরও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় পশু বাজারে নিতে পারবেন কিনা, বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা, ক্রেতা মিললেও দাম পাওয়া যাবে কিনা এসব নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

প্রকৃতপক্ষে কোরবানির ঈদ সামনে রেখেই খামারিরা সারা বছর পশু লালন পালনে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। তাই ঈদে পশু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে তাদের।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে এ বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তিন হাজার ৭৯৩টি খামারে ২৪ হাজার ৯৩৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৪৯৮টি, বলদ ছয় হাজার ৪৬৫টি, মহিষ ১৯টি এবং ছাগল সাত হাজার ৭১৪টি ও ভেড়া ২৪৩টি।

উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের খামারি হান্নান মোল্লা বলেন, আমরা সারা বছর গরু মোটাতাজা করি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। বড় এবং দেখতে সুন্দর গরুগুলোই কেবল মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির জন্য ভালো ভালো খাবার দিয়ে পালন করি। সেগুলো যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে অনেক লোকসান হবে।

আরেক খামারি রাজীব বলেন, দেশে এখনও করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়নি। এত টাকা বিনিয়োগ করে যদি গরুর ভালো দাম না পাই তাহলে খামারিদের দুঃখের সীমা থাকবে না। খামারি সুমন বলেন, ১৮টি গরু লালন পালন করেছি কোরবানির আশায়। ঈদের বাজার সন্নিকটে। তবু করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছি।

সদকী ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের খামারি সোহেল রানা বলেন, গত বছর সাত লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল। করোনা নিয়ে এবার কি হবে বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবার উপজেলায় তিন হাজার ৭৯৩টি খামারে ২৪ হাজার ৯৩৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৪৯৮টি, বলদ ছয় হাজার ৪৬৫টি, মহিষ ১৯টি এবং ছাগল সাত হাজার ৭১৪টি ও ভেড়া ২৪৩টি। আমরা সারা বছর খামারিদের সার্বিক খোঁজখবর ও সেবা দিয়েছি। তবে করোনায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

 

 
Electronic Paper