ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেট্রাপোলে আটকা পণ্যবাহী ৫৭ ট্রাক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০২০

পাট ও নেস্তা বীজ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোলের সেন্ট্রাল পার্কিংয়ে নয়টি ও বনগাঁর কালিতলা পার্কিংয়ে ৪৮টিসহ ৫৭টি ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন পাট ও নেস্তা বীজ রফতানি করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এসব বীজের ট্রাক গ্রহণ করার জন্য প্রতিদিন বেনাপোল কাস্টম, বন্দর ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিরা চেকপোস্টে ডিউটি করছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় পাটবীজ আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। ভারতের কাস্টম ও বন্দর কর্র্র্তৃপক্ষ পাটবীজ আমদানিতে সহযোগিতা করলে বেনাপোল কাস্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষও সহযোগিতা করতে রাজি আছে। দুই একদিনের মধ্যে এ পাটবীজ আমদানি না হলে বাজারে মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতর থেকে চলতি পাট মৌসুমের জন্য পাঁচ হাজার টন পাটবীজ ও এক হাজার ৫০০ টন নেস্তা বীজ আমদানির (আইপি) অনুমতি দেওয়া হয় গত ১৮ মার্চ। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৮৩৫ টন পাট ও নেস্তা বীজ আমদানি হয়েছে ভারত থেকে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা ভারত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য গত ২২ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। খুব জরুরি হওয়ায় পাটবীজগুলি রপ্তানি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ট্রাকচালকরা কোয়ারেন্টাইনে থাকার ভয়ে ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে যেতে রাজি হচ্ছে না।

ভারতের বনগাঁর এনএফটি বীজ কোম্পানির মালিক স্বপন জানান, পাট ও নেস্তা বীজগুলি রপ্তানি করা খুব জরুরি। কালিতলা পার্কিং থেকে মেয়র সাহেব গাড়ি ছাড়ছে না, তার বক্তব্য হলো এ গাড়ি বাংলাদেশে গেলে চালকদের মাধ্যমে যদি করোনা ভাইরাস আসে তার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল সেন্ট্রাল পার্কিংয়ে আমার বীজ ভর্তি সাতটি ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। দুই একদিনের মধ্যে এসব বীজ না আমদানি হলে প্রতি ট্রাকে ৪-৫ লাখ টাকা করে লোকসান হবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন বলেন, ভারতীয় কাস্টম রপ্তানি করলে পাট ও নেস্তা বীজ আমদানিতে বাংলাদেশ কাস্টমসের কোনো আপত্তি নেই। যদি আমদানি হয় দ্রুত শুল্কায়ন শেষে খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত থেকে পাট ও নেস্তা বীজ যদি আমদানি হয় তাহলে চেকপোস্টে স্বাস্থ্যকর্মীর দ্বারা জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালক এবং হেলপারদের হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিশ্চিত হয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। দ্রুত খালাসের জন্য সব পয়েন্টে বন্দরের অফিসাররা যাতে ডিউটি করে তা বলা আছে। লোডিং আনলোডিং করার জন্য শ্রমিকদেরও বলা আছে।

 
Electronic Paper