চাষি তালিকা প্রস্তুতে অনিয়ম
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
যশোরের মণিরামপুরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল চলতি ২০ নভেম্বর। সময়সীমা এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও ক্রয় কাজের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আমন সংগ্রহে কৃষি অফিসের তৈরিকৃত তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরাসরি কৃষকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রকৃত কৃষি কার্ডধারী আমন চাষিদের তালিকা তৈরির কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। কৃষকের দ্বারে না গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পছন্দের দুই-একজনের মাধ্যমে অনুমান ভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে প্রকৃত আমন চাষিদের নাম বাদ পড়ে আমন চাষি নন কার্ডধারী এমন কৃষকের নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের প্রস্তুতকৃত তালিকায় ধান ক্রয় করা হলে প্রকৃত কৃষক বাদ পড়ে আবারও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। এই তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের আবেদন তাদের।
এই বছরই প্রথম লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি। ইতিমধ্যে মিটিং করে সব উপজেলাকে লটারির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ধারদেনা শোধ করতে ইতোমধ্যে অধিকাংশ কৃষক ক্ষেতের ধান মাড়াই করে ৬১০ টাকা মণ দরে বিক্রি শুরু করেছেন। গুদাম কর্তৃপক্ষ যখন ধান নেওয়া শুরু করবে তখন অনেক কৃষকেরই ঘরে ধান থাকবে না। ফলে কর্তৃপক্ষের গড়িমসিকে আবারও সিন্ডিকেট হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান দেওয়ার সুযোগের আশায় উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় ক্ষমতাসীন বিভিন্ন লোক প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের নির্ধারণ করা নামগুলো তালিকায় তুলতে উপ-সহকারীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন হোসেন খান বলেন, এবার প্রতি কৃষকের কাছ থেকে দেড় মেট্রিকটন করে ধান সংগ্রহের জন্য জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মণিরামপুরে কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক মেট্রিকটন করে ধান নেওয় হবে। সেই হিসাবে প্রায় আড়াই হাজার কৃষক ধান দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ইউএনওর সাথে কথা হয়েছে। তিনি সময় দিলে দ্রুত লটারি করে ক্রয় কাজ শুরু হবে।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, সব কৃষকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তালিকা করা সম্ভব না। আমরা ৪৫ হাজার কৃষকের তালিকা তৈরি করে ইউএনও অফিসে জমা দিয়েছি। কৃষি কার্ড ছাড়া কেউ ধান দিতে পারবে না। যাদের নাম ক্রয় তালিকায় স্থান পাবে তাদের কারো কার্ড না থাকলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তার পরের ব্যক্তি ধান দিবেন। কোন নামের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
