কয়রায় ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৮
খুলনার কয়রা উপজেলার ১৩০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৪০ কিলোমিটারই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দীন। দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোনো সময় তা ভেঙে অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির জুলাই মাসের সভায় এ কথা জানান তিনি। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরুজ্জামান।
সভায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এবং জেনারেল হাসপাতালের সামনে ডাস্টবিন অপসারণ করা দরকার। এক্ষেত্রে নিকটবর্তী ভৈরব নদের পাশের কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দিলে এসব ডাস্টবিন সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া শহরে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কিছু বাড়ির ছাদ ছিদ্র করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অধীনে ২২টি এবং গণপূর্ত বিভাগের অধীনে থাকা ১৬টি ভবনের লিজ অর্থাৎ বরাদ্দ দ্রুত বাতিল করে তালিকা নিজ নিজ দপ্তরে পাঠাতে হবে।
গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জোড়া গেট সিঅ্যান্ডবি কলোনির জরাজীর্ণ সরকারি কোয়ার্টার দ্রুত পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি ডরমিটরি নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্পের আওতায় আঠারোবেকী নদী পুনরায় খনন, সংযোগ খাল পুনরায় খনন ও নদী তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। নদীর তীরবর্তী জমি থেকে ইট ভাটাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বনায়ন করা যেতে পারে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের ঝপঝপিয়া সেতু নির্মাণের জন্য চীন সরকারের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। যা ১১তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হিসেবে নির্মিত হবে।
সামাজিক বন বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে দেশব্যাপী একযোগে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখ বৃক্ষ রোপণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় ৬০ হাজার চারা রোপণ করা হবে। এজন্য উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুপাতে চারার সংখ্যা প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ দায়িত্বে চারা সংগ্রহ ও রোপণ করবে। সভায় কেডিএ সচিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেসিসির প্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।