ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নড়াইলে ফাঁদে ফেলে শিক্ষা কর্মকর্তার অর্থ বাণিজ্য

নড়াইল প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯

টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেন না বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইয়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে। অনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করেছেন তিনি। বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের নানা অনিয়মের সুযোগ দিয়ে কিংবা শিক্ষকদের নানা ফাঁদে ফেলে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম সাইয়েদুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা অস্থির হয়ে কিছু একটা করতে চান, তারা কোথাও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। আমার অগোচরে কেউ যদি আমাকে ভাঙায় তাহলে আমার কি করার থাকতে পারে।

জানা গেছে, ২০০৪ সালে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে সদর উপজেলার ত্রিমোহনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন দুর্গাপুরের সুমতি রায়। টানা ১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে স্কুলে এসে কাজ করছেন। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে আবার তিন কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসেন।

নিজের চাকরি এমপিও হওয়ার জন্য নানা জায়গায় ধর্না দিয়েছেন, ম্যানেজিং কমিটির কাছে টাকা দিয়েছেন তবুও এমপিও হয়নি। সর্বশেষ গত আগস্ট মাসে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে গাড়িচালক সিদ্দিকুর রহমানের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। গরিব সুমতি ৩৮ হাজার টাকা জোগাড় করছে দিয়েছেন গাড়িচালক সিদ্দিকের হাতে। দিনের পর দিন এমপিওর মিথ্যা আশ্বাস দিলেও এমপিও আবেদনই জমা হয়নি। গরিব সুমতিই নয়, শিক্ষা অফিসারের ঘুষের শিকার হয়েছেন কয়েক ডজন শিক্ষক।

নড়াইল সদরের দক্ষিণ শিমুলিয়া কলেজ, আশার আলো কলেজ, রতডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেবভোগ জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও পাসের জন্য টাকা দিতে হয়েছে জেলা শিক্ষা অফিসারকে।

মালিয়াট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মালতি বালা পাঠক বলেন, সদর উপজেলা অফিস থেকে আমার এমপিও কাগজপত্র ছেড়ে দিলেও শিক্ষা কর্মকর্তা সাইয়েদুর রহমান দায় চাপিয়ে আমার এমপিও বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন।

 
Electronic Paper