ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২৫ টাকা

মণিরামপুরে অস্থির পিয়াজের বাজার

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

সপ্তাহ জুড়ে দাম কিছুটা কম থাকলেও যশোরের মণিরামপুরে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পিয়াজের বাজার। যে পিয়াজ কিছুদিন আগেও কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা, সেই পিয়াজের দর কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আবার গ্রাম্য এলাকায় কোনো কোনো বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে।

পিয়াজের বাজারে এই অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরে চললেও দাম নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান এই পর্যন্ত চোখে পড়েনি। ফলে পাইকারী বাজারের সাথে সামঞ্জস্য না রেখেই নিজেদের ইচ্ছেমতো দরে পিয়াজ বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলে বাজারে গিয়ে রীতিমতো হতাশ হচ্ছেন খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা। নিত্য তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

সোমবার সকালে সরেজমিন খুচরা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬৫-৭০ টাকা। আর পাইকারী বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকা। এছাড়া উপজেলার নেহালপুর, রাজগঞ্জ ও টেংরামারী বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

মণিরামপুর পাইকারী কাঁচা বাজারে পিয়াজের বড় ব্যবসায়ী শিপন হোসেন বলেন, বাইরে থেকে যে পিয়াজ ঢুকেছে তার মান ভালো ছিল না। এখন পিয়াজ ঢোকা বন্ধ রয়েছে। তাই আবার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি পিয়াজ এখন বিক্রি করছি ৭৫ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি করেছি ৬০-৬২ টাকায়।

মণিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েমা হাসান বলেন, পিয়াজের দাম নিয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অভিযান শুরু হবে। ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, পিয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় আছে। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 
Electronic Paper