মধুমতির ভাঙনে বাড়ছে ভূমিহীনের সংখ্যা
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
🕐 ১২:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
মাগুরার মহম্মদপুরের মধুমতি নদীর ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এক অংশ। জিও ব্যাগ ফেলেও রোধ হচ্ছে না এ ভাঙন। মধুমতির পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ এ ভাঙন।
ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও অসংখ্য দোকান-পাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। ফলে উপজেলার মানচিত্র থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে মহেষপুর, হরেকৃষ্ণপুর, ঝামা, আড়মাঝি, যশোবন্তপুর, কালিশংকরপুর, রায়পুর, মুরাইল, ধুপুড়িয়া, জাঙ্গালিয়া, গোপালনগর, রুইজানি, কাশিপুর, ধুলজুড়ি, ও ভোলানাথপুর গ্রাম। গত কয়েক দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে নদীপাড়ের অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি। এতে বাড়ছে ভূমিহীনের সংখ্যা।
রুইজানী গ্রামের স্মৃতি রানী বিশ্বাস জানান, নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে আমাদের বাড়িঘর, গাছপালা ও চার একর ফসলি জমি। বাড়ি করার আর কোন জমি নাই। তাই কয়েক দিন ধরে আমরা গাছ তলায় ছাপড়া প্যাতে আছি কেউ আমাদের দেখতিও আসলো না।
হরেকৃজ্ঞপুরে জয়নাল আবেদিন জানান, নদী ভাঙনের ভয়ে আমরা রাত জেঁগে বসে থাকি। স্বর্বস্ব হারিয়ে আমরা এখন ভূমিহীন, কোথায় যাবো। ক্ষতিগ্রস্ত গোপালনগর গ্রামের মফিজ উদ্দীন জানান, মধুমতির ভাঙনে এসব এলাকার অনেক পরিবার এখন নিঃস্ব। ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে। আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছে পরের জমিতে। তাছাড়া প্রতিবছর আপনারা ভাঙনের ছবি তোলেন, রিপোর্ট করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর রাখে না। এতে কোনো কাজ হয় না।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বহী প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন সুজন জানান, নদী ভাঙন রোধে আমরা কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ মিটার বাধ নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে আমরা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করবো।