মূর্তমান আতঙ্ক মুন্না
যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৯
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মুন্নার বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা নির্যাতন করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার যশোর জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান মুন্নাকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও লুটেরা আখ্যা দিয়ে তার অত্যাচার থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুবিয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাবা আনোয়ার হোসেন চুড়ামনকাটি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান আমার স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। আমরা আওয়ামী লীগের পরিবারের লোক হওয়া সত্বেও সন্ত্রাসী মুন্নার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। বর্তমান আমার স্বামী ও দুই ছেলে মেহেদী হাসান রুনু এবং মাহাবুব হাসান রানু ইউপি চেয়ারম্যান মুন্নার রোষানলের শিকার। সে ও তার বাহিনীর লোকজন আমার স্বামী ও দুই ছেলেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করেন। তার পাশাপাশি দুই ছেলেও যুবলীগের নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে। তারা এলাকায় সারাজীবন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান একজর চরমপন্থী দলের সদস্য। সে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারণে আমার স্বামীকে কয়েক দফা মেরে ফেলার চেষ্টা করে মুন্না বাহিনী। হামলা ও লুটপাট করে আমার বাড়িতে। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত আগুন দেয়। বর্তমান সে আমার দুই ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাদের নামে একের পর এক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে।’
লিখিত বক্তব্যে রুবিয়া বেগম আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান আব্দুল মানান মুন্না এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সে নিজে এক সময় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি করে বেড়াত। তার ছিল মাদকের কারবার। বর্তমানে তার এসব চালাচ্ছে কুষ্টিয়ার আলম। কুখ্যাত শরিফুল বাহিনীর সদস্য মহিউদ্দিন মহি তার টেন্ডারবাজির কাজে সহযোগিতা করছে। চেয়ারম্যান চুড়ামনকাঠি হাটের ইজারা নিয়ে গাছ বিক্রি, নতুন দোকান তৈরি করে লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া বিচারের নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চেয়ারম্যান।’