মেহেরপুরে প্রভাবশালীদের দখলে স্টুয়ার্ট খাল
মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৮
মেহেরপুরের স্টুয়ার্ট খাল দখল হয়েছে অনেক আগেই। এখন খালের দুই ধারের জমির মালিকদের ভোগ দখলে আকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। এখন খালের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য পুকুর। পুকুর খননের কারণে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বর্ষার সময় খালের উপরিভাগের আবাদি জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, গাংনী উপজেলার মহব্বতপুর গ্রাম থেকে শুরু করে ভোমরদহ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালের বুকে শুধুই পুকুর। সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। খালের দুই পাশের জমির মালিকরা প্রথমে পুকুর কাটেন। তাদের দেখাদেখি এলাকার প্রভাবশালীরা খাল দখল করে পুকুর খনন শুরু করেন। ভাটপাড়া নীলকুঠির সর্বশেষ ম্যানেজার জন স্টুয়ার্ট এ খাল আবারে খননের কাজ করেন বলেই একে স্টুয়ার্ট খাল বলা হয়। সিন্দুরকৌটা গ্রামের পাশে মাথাভাঙা নদী থেকে খালটি উৎপন্ন হয়ে কামারখালী, বাদিয়াপাড়া-মহব্বতুপুর, তেরাইল, দুর্লভপুর, ভোমরদহ ও হিজলবাড়ীয়া গ্রাম হয়ে ভাটপাড়ার পাশের কাজলা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ইংরেজদের প্রধান নীল তৈরি কেন্দ্র ভাটপাড়া নীলকুঠির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইংরেজ শাসক খাল পুনরায় খনন করেছিলেন। নীল পরিবহনের স্বার্থেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন নীল চাষও নেই, স্রোতস্বিনী খালও নেই।
স্থানীয়রা জানান, স্টুয়ার্ট খালে পুকুর খননের কারণে আশপাশের মাঠগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকালে মাঠের নিচু জমিতে আগের মতো চাষাবাদ হচ্ছে না। প্রতি বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু চাষি এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না। ফলে দখলকারীদের দৌরাত্ম্যই প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মখর্তা বিষ্ণুপদ পাল বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে খালের জমি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।’