ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোমরা স্থলবন্দরে খালাসে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৮

ভোমরা স্থলবন্দরে পণ্য খালাস করতে ব্যবসায়ীদের কাছ আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। পণ্য খালাসে সরকারি খরচ দেওয়ার পরও প্রতি ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত অবৈধ ভাবে আদায় করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ নেতারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করার পরও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান। ফলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোহিত ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী জানান, ভোমরা বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ ট্রাক পাথর খালাস করাতে হয় তার। এসব পাথর খালাসের জন্য প্রথমে সরকারিভাবে ট্রাক প্রতি ফি জমা দিতে হয় ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্ত লেবার ফি জমা দেয়ার পরও কোনো লেবার পাওয়া যায় না। ফলে পরবর্তীতে ট্রাক প্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিয়ে এসব পণ্য খালাস করতে হয় বলে জানান তিনি।
এ বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি এন্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার ঘোষ জানান, তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকার কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়। গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫টি ট্রাক পণ্য বন্দর থেকে খালাস করাতে হয়। কিন্ত সরকারি ফি জমা দিয়েও নিজ খরচে পণ্য খালাস করতে হয় তাকে। ফলে ট্রাক প্রতি আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হয়।
শুধু রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী বা অশোক কুমারই নয় ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী সকল ব্যবসায়ীকে এ ভাবেই পণ্য খালাসে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। সূত্রমতে প্রতি দিন ২৮০ থেকে ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। এসব ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা  অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু জানান, ভোমরা বন্দরের ওয়্যার হাউজে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। এসব ট্রাকের পণ্য খালাস করতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টন প্রতি ৭৭ টাকা হিসাবে একেক ট্রাকের জন্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে জমা দিতে হয় ভোমরা বন্দরের লেবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রব কমুনেকেশন লিমিটেডের নিকট ।
নিয়ম অনুযায়ী ওই ঠিকারদারি প্রতিষ্ঠান তাদের লেবার দিয়ে পণ্য খালাস করিয়ে দেবে। কিন্ত তারা টাকা নেওয়ার পরও কোনো লেবার দেয় না। ব্যবসায়ীদের বাধ্য করানো হয় নিজ খরচে পণ্য খালাস করাতে।
ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জলিল জানান, পণ্য খালাসের জন্য সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী টন প্রতি ৭৭ টাকা হারে নেয়া হয়।

 
Electronic Paper