ধর্ষণের পর বিলকিসকে হত্যা, দাবি পরিবারের
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯
কুষ্টিয়ায় বেসরকারি ক্লিনিকের সেবিকা বিলকিস আক্তার হত্যার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্বজনরা। তাদের দাবি, গণধর্ষণের পর বিলকিসকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজ (২৫ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের এমএ রাজ্জাক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযাগ করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত বিলকিস আক্তারের মা মর্জিনা বেগম, স্বামী রবিউল ইসলাম, পালিত মেয়ে কুয়াশা ইয়াসমিন এবং মামলার বাদী বিলকিসের মামাতো ভাই পারভেজ হাসান।
নিখোঁজের তিনদিন পর গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধ বাজার কাঞ্চনপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকার জিকে ক্যানাল থেকে পুলিশ বিলকিস আক্তারের লাশ উদ্ধার করে। নিহত বিলকিস আক্তার কুষ্টিয়া শহরের উত্তর আমলাপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তিনি শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মর ছিলেন। গত ১৭ আগস্ট দুপুর ২টার দিক ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরেন বিলকিস।
বিকেল ৫টার দিকে মুঠোফোনে একটি কল আসার পর দ্রুত বাড়ি থেকে বোরখা পরে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভট হাসপাতালের কর্মচারী কবুরহাট এলাকার জসিমকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, জসিম ইতোমধ্যেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, জসিম একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে লাশ নিয়ে গিয়ে বাঁধবাজার কাঞ্চনপুর জিকে ক্যানালে ফেলে রাখেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলন নিহত বিলকিসের স্বজনরা দাবি করেন, ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ইয়ারুল, হাসপাতালের স্টাফ উজ্জ্বল ও জসিমের বন্ধু কাদের এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা বিলকিসকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত।
নিহত হওয়ার কয়েকদিন আগেও বিলকিস পরিবারের সদস্যদের কাছে এ বিষয়টি জানিয়েছিল। এছাড়া হত্যাকাণ্ড স্বীকারোক্তি দেওয়া জসিম ২০১৮ সালে প্রামোশন দেওয়ার নাম করে বিলকিসের কাছ থেকে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সে টাকা ফরত চাইলে নানাভাবে গড়িমসি করতে থাকেন জসিম।
বিলকিসের পালিত মেয়ে কুয়াশা অভিযোগ করেন, তার মাকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশের গোসল করানার সময় তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন তারা।