কুমারখালীতে চাল বিতরণে অনিয়ম
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
🕐 ৫:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০১৯
ওজনে কম দেওয়া, ৩০ বস্তা চাল গোপন কক্ষে মজুদ করা, কার্ড শেষ হলেও প্রায় পাঁচশত কেজি চাল অবশিষ্ট থাকা, অবশিষ্ট চাল মেম্বারদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাবসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন, প্রতিবারই চেয়ারম্যান চাল চুরি করে। তাই এবার আগে থেকেই আমরা সজাগ। এবার ভিজিএফের চাল বিতরণকালে জানতে চাইলাম কত বস্তা চাল এবং কতজন কার্ড পাবে?
তখন চেয়ারম্যান বলেন, ওটা কারও জানার প্রয়োজন নেই। পরে জনগণ জড়ো হলে চাপাচাপির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বলেন ৬০৪ বস্তা (৩০ কেজি) চাল ১২০৯ জনকে ১৫ কেজি করে দিতে হবে। এ সময় আমরা বস্তা গুনে ৩০ বস্তা চাল কম পেয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি। পরবর্তীতে অন্য এক রুম থেকে ৩০ বস্তা চাল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, চাল বালতি দিয়ে মেপে দিয়েছি। বাইরে কম পড়লে আমরা কি করব। সব চাল গুদামেই ছিল। প্রায় সাড়ে চারশ কেজি চাল অবশিষ্ট আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, চাল ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। পিআইওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করতে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।