মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৯
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় মা-বাবাকে পিটিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল (১৮ আগস্ট) দুপুরে লাল্টু ওরফে মন্টু (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাল্টু একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, শনিবার গভীর রাতে উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসিক এলাকার লাল্টু, মধু ওরফে শরিফুল এবং রাজু ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে তার বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী আমবাগানে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি জানান, রোববার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় লাল্টু ওরফে মন্টুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ : ঝালকাঠি সদর উপজেলার তেরআনা শাহ মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট এসএম কামাল উদ্দিন খন্দকারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী কামাল উদ্দিনের বাসায়ই গৃহপরিচারিকার কাজ করত। খবর পেয়ে গত শনিবার রাতে পুলিশ কামালের মেজ ভাইয়ের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। গত শুক্রবার দুপুরে কামিল উদ্দিন নিজ বাড়িতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘটনাটি জানাজানি হলে কামাল গা-ঢাকা দেন। পরে মেয়েটিকে ধর্ষক কামালের মেজ ভাই জামাল উদ্দিনের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি নিয়ে আসে। এলাকাবাসী জানান, দরিদ্র মেয়েটিকে বাসায় কাজে রাখার সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে কামাল উদ্দিন জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। গত শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোণিত কুমার গাইন জানান, মেয়েটি মাদ্রাসা সুপারের বাসায় থাকত। ৪-৫ বছর যাবৎ সুপার কামাল তাকে যৌন নির্যাতন করে আসছেন। এ বিষয় নারী নির্যাতনের মামলা রের্কড হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, তেরআনা মাদ্রসার সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপসহ অন্য অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কামাল উদ্দিনকে কল করা হলেও তার সেলফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাদ্রাসা সুপার প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। কয়েক বছর আগেও একবার সুপার কামালের বিরুদ্ধে আলিম শাখার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তখন স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়।