যশোরে চামড়া নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা
বিএম ফারুক, যশোর
🕐 ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদাররা কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করলেও খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাটে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। শনিবার ঈদের পরে প্রধান হাটেও চামড়ার দাম কম। হাটে চামড়াও উঠেছে অল্প পরিমাণ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, চামড়া রফতানির সরকারি ঘোষণার পর পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সেটা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই ব্যবসায়ীদের অনেকে এ হাটে বেকাকেনা থেকে বিরত থেকেছেন। এছাড়া ঢাকার ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা না দেওয়ায় কাঙ্খিত পরিমাণ চামড়া কিনতে পারেননি তারা।
ঈদের পরদিন রাজারহাট প্রায় ক্রেতাশূন্য থাকলেও শনিবার হাট ছিল ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম। তবে সেই তুলনায় চামড়ার যোগান ছিল কম। বিক্রেতারা বলছেন, সরকার চমড়া রফতানির ঘোষণা দেওয়ায় দরের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা আশা করলেও এ হাটে এসে হয়েছেন আশাহত।
বেপরীদের অভিযোগ, ট্যানারি মালিকরা যে দামে কিনতে বলছেন বাজারে সেই দামে চামড়া মিলছে না। ফলে লোকসান গোনার শঙ্কায় তারাও।
সাতক্ষীরা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ৯০ পিচ চামড়া নিয়ে রাজার হাটে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি সেই চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। মাত্র ১৪ পিস চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন। এবার চামড়ায় তার অনেক টাকা লোকসান হবে। লবন, পথ ও লিবারের খরচ উঠছে না।
খুলনা সুপার ট্যানারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, রাজার হাটে প্রথম দিনে এক লাখ চামড়া ওঠে। এবার সে পরিমান চামড়া ওঠেনি। বাণিজ্যটা ভালো না হওয়ার কারণে হাটে চামড়া ওঠেনি। অনেকেই চামড়া মজুত করে রেখেছেন।
বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তর রাজার হাট আজ জমার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চামড়া রপ্তানি ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে। চামড়া নিয়ে কোন কারসাজি হয়নি।
বাংলাদেশে যে চামড়া আছে সেই চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। যার যার চামড়া তার তার বাড়িতে আছে। তারা অনেকেই হাট দেখার জন্য আসছেন। আগামী শনিবার হাট জমবে।