ভবন সংকটে বারান্দায় পাঠদান
সিদ্দিকুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)
🕐 ৭:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯
যশোরের কেশবপুরের জাহানপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানাবিধ সংকটে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ডিজিটিাল হাজিরা ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ, সুপেয় পানি, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাথরুমসহ খেলার মাঠ। কক্ষ সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলছে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সাহায্য মেলেনি।
বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪৫ শতাংশ জমির ওপর জাহানপুর উত্তর (রেজি.) প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। আশপাশে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫৫ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ছয়টি শ্রেণি কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ২০০০ সালে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ফলে কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের একই কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করাতে হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটি দিক দিয়ে অবহেলিত।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোকেয়া খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ে বর্তমান একটি মাত্র বাথরুম রয়েছে। প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূর থেকে সুপেয় পানি আনতে হয়। ২০০৭ সালে গভীর নলকূপ বসানো হলেও তা দিয়ে বর্তমানে পানি ওঠে না। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ছয়টি কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র তিনটি। সংস্কারের অভাবে খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হলেও তারা সবদিক দিয়ে অবহেলিত। শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি তার বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। কক্ষ সংকটের কারণে ইতোপূর্বে খোলা আকাশের নিচে চলতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর আলী বলেন, বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি অনুদান ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।