খুলনায় চিকিৎসার নামে প্রতারণা
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৬:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯
খুলনার অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন নেই। নেই নিয়ম-নীতির কোনো বালাই। প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম ছাড়াই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে অব্যবস্থাপনায় রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
সম্প্রতি নগরীর খানজাহান আলী রোডে অবস্থিত ন্যাশনাল হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় জনৈক রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরের চেষ্টা করে।
হাসপাতালটিতে সরেজমিন দেখা যায়, বহুতল ভবনের হাসপাতালটিতে রোগী বহনে নেই লিফট। নেই পর্যাপ্ত পোস্ট অপারেটিভ সেবা। আইসিইউ সেবা নেই। কিন্তু দেদারছে চলছে অপারেশন। ফলে অপারেশনের পরে কোন রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো ছাড়া কোন কিছু করার থাকে না।
অপরদিকে, নগরীর শিপইয়ার্ড মেইন রোডে অবস্থিত আরাফাত হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও সম্প্রতি ‘বি নেগেটিভ’ রক্তের পরিবর্তে রোগীর শরীরে ‘ও পজেটিভ’ রক্ত পুশ করা হয়।
খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, মহানগরীতে বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত ১৬০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ক্লিনিকের সংখ্যা রয়েছে ৭৬টি। বাকীগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে নতুন নিয়মে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক নিবন্ধনের জন্য আবেদনের মেয়াদ আজ ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। যারা আবেদন করেনি এমন সব ক্লিনিক হাসপাতাল অবৈধ হয়ে যাবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশিদা খানম বলেন, আবেদন যাচাই-বাছাই করে সকল হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হবে। লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।