ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যশোর শিক্ষাবোর্ডে অনিয়ম

যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

যশোর শিক্ষা বোর্ড এখন অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া। সবকিছু চলছে চেয়ারম্যানের মর্জি মাফিক। অনিয়ম এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে। মানা হচ্ছে না মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ক্রয় নীতিমালা। উন্মুক্ত টেন্ডারের পরিবর্তে কৌশলে ছোট ছোট প্রকল্প দেখিয়ে কোটেশনে পছন্দের লোককে কাজ দিয়ে ফাঁয়দা লোটা হচ্ছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, আমার বোর্ডে যখন মাস্টাররোল কর্মচারী প্রয়োজন হবে, তখন তা আমি নিতে পারবো। এ বিষয়ে কারো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে চলতি বছর বোর্ডের বিভিন্ন শাখায় ৪৫ জন মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ দেন। পিপিআর আইন ২০০৮ লঙ্ঘন করে ছোট ছোট প্রকল্প দেখিয়ে কৌশলে কোটেশনে কোটি কোটি টাকার কাজ করা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের অফিস রুম ও সভা কক্ষ মেরামত, নাম ফলক তৈরী এবং ফুল বাগান শোভা বর্ধনের নামে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মালামাল কেনার নিয়ম থাকলেও পিপিআর আইন উপেক্ষা করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ছোট ছোট প্রকল্প দেখিয়ে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ২৩৫ টাকার মালামাল কেনা হয়েছে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে যোগদানের জন্য ৪ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহণ করা সত্বেও চেয়ারম্যান পুনরায় ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১২ হাজার ৮২ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করেন।

জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান নিজ অফিস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মিটিং করলে তিনি ভাতা প্রাপ্য হবেন, তবে যশোর শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে ওই অফিসে মিটিং করে যদি তিনি বৈঠকী ভাতা গ্রহণ করেন, তাহলে সেটা হবে অবৈধ।

 
Electronic Paper