ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিনিয়োগ বাড়লেও চালু হয়নি আট কারখানা

আবুল হাসান, মোংলা
🕐 ৪:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯

বিনিয়োগকারী টানতে পারলেও ব্যবসায়ীদের সমস্যা মিটাতে ব্যার্থ হচ্ছে মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ না নেয়ায় এ ইপিজেডে তিন বছর ধরে আটটি ফ্যাক্টরী বন্ধ আছে। ওইসব ফ্যাক্টরী থেকে উৎপাদিত পণ্য শুধু যেত ভারতে। ভারতের ব্যবসায়ীদের মোংলা ইপিজেড থেকে পণ্য নিতে অতিরিক্ত টাকা গচ্ছা হওয়ায় পণ্য নেয়া থেকে বিরত থাকে। আর তারপর থেকেই দৃশ্যত মোংলা ইপিজেডে আটটি সুপারি ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যায়।

‘মোংলা ইপিজেড এক্সপোর্ট এ্যাসোশিয়েশনে’র সভাপতি গালিব কাপাডিয়া জানান, ভারত সরকার তাদের ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিএফটিআইয়ের (ডায়রেক্টর জেনারেল ফরেন এ্যাসোসিয়েশন) এক ঘোষনায় জানান- বাইরে থেকে কোন পণ্য আমদানি করতে হলে ৩৬’শ থেকে চার হাজার ডলারের মধ্যে আমদানি করতে হবে, এর নিচে হলে ভারতে পণ্য আমদানি করা যাবেনা।

তাই এখন ২৫১ রুপির ওপর অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা ২০১৬ সাল থেকে মোংলা ইপিজেড থেকে পণ্য নেয়া থেকে বিরত থাকে। তবে ২০১৬ সালের আগে দুই হাজার ডলারের মধ্যে পণ্য আমদানির নিয়ম ছিল। কিন্তু এখন তা বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।

ইপিজেডের মহা-ব্যবস্থাপক মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক জানান, মোংলা ইপিজেডে এখন আগের তুলনায় অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে। বর্তমানে এ ইপিজেডে ব্যাগ, চুল, গার্মেন্ট পণ্য ও কার্টুনসহ মোট ২৮ টি ফ্যাক্টরী চালু আছে। আরও ১৫ টি ফ্যাক্টরী চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

২০০১ সালের ১ মার্চ মোংলা ইপিজেড থেকে প্রথম রপ্তানি শুরু হয়। এরপর পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোংলা ইপিজেডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকায় তেমন রাজস্ব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি।

তবে ২০০৮ সালের পর বর্তমান সরকারের বহুমূখী উদ্যেগের কারনে এ ইপিজেডের ব্যবসায়ীদের ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, গত ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মোংলা ইপিজেডের পূঞ্জিভূত বিনিয়োগের পরিমান দাড়িয়েছে ৪৫ কোটি থেকে ৫২৫ কোটি টাকায়।

এখানে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯৫ কোটি থেকে ৪৮০০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১০ বছরে এখান থেকে রপ্তানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ গুন।

 
Electronic Paper