ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খুলনা-মোংলা রেললাইনে জমি অধিগ্রহণ

মিলছে না ক্ষতিপূরণ

খুলনা ব্যুরো
🕐 ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯

খুলনা-মোংলা রেললাইনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হতাশায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া মাইটকুমড়া এলাকার অনেক জমির মালিকরা। জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বছরকে বছর ঘুরেও প্রকৃত জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা সরকারের কাছে দ্রুত ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তবে জেলা প্রশাসন বলছেন, ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে যদি কেউ অনিয়ম করে থাকেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জাড়িয়া মাইট কুমড়া গ্রামের রহমান শেখ বলেন, জাড়িয়া মাইট কুমড়া মৌজায় ১১৭৭ এবং ১১৭৬ দাগে নিজের কবলাকৃত ২৪ শতক জমি রেললাইনের জন্য অধিগ্রহণ হয়েছে। এ জমির ওপর গাছ-গাছালি ও অবকাঠামোর জন্য আমি কোনো টাকা পাইনি।

বাশারাত বলেন, জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৮১ টাকা প্রদানের নোটিস দিলেও পরে ২০ লাখ টাকার চেক নিতে বলে অফিস থেকে এবং বলে বাকি টাকা পরে পাবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ খান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কামাল হোসেনসহ ওই শাখার কয়েকজন যোগাযোগ করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছে। ফলে আসল ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পায়নি। তারা এখন বিভিন্ন দঢতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জহিরুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছি।

এখনো যদি কেউ ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকে সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনিয়মের সঙ্গে যদি কারও যোগসূত্র থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

ক্ষতিপূরণ না পাওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, রেললাইনের সীমানায় পড়া জমির অধিগ্রহণের টাকা পেতে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় জমা দিয়েও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না।

২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে টাকার অঙ্ক লেখা সাত ধারা নোটিস পেলেও দুই বছর ধরে আশ্বাসের পর আশ্বাস ও অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে অনৈতিক উৎকোচ নেওয়ার পরেও টাকা পাওয়া যায়নি। আবারও কেউ কেউ জমির টাকা পেলেও অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গাছপালার ক্ষতিপূরণের টাকা অন্য লোকদের নামে উত্তোলন করে নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।

এদিকে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া মাইটকুমড়া মৌজার প্রায় ২০টি পরিবার অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

 
Electronic Paper