সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রীর ফুফা রফিকুল ইসলাম দিদার জানান, এই মেয়েটির বাবা ১০ বছর আগে ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করা অবস্থায় নিরুদ্দেশ হন। এরপর মা তার দুই শিশু কন্যকে দাদির কাছে রেখে ঢাকায় চলে যান। পরে দুই শিশুর মধ্যে বড়টিকে তার মা ঢাকায় নিয়ে যান। এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় এই শিশু কন্যাটি তার বৃদ্ধা দাদির আশ্রয়ে থেকে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।

শনিবার বিকালে ওই ছাত্রী তার দাদির ঘরে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার দাদি বাড়িতে ছিল না। এ সুযোগে প্রতিবেশী নিজাম শেখ (৫০) ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তার ডাক-চিৎকার শুনতে পেরে মেয়েটির ফুফু ওই বাড়িতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। এসময়ে নিজাম শেখ তখন দরজা খুলে পালিয়ে যায়। রোববার বাড়িতে ফিরে ওই ছাত্রীর ফুফা রফিকুল ইসলাম দিদার ঘটনার বিষয়ে প্রতিকার চাইলে অভিযুক্ত নিজাম শেখ, তার স্ত্রী ও ছেলে উল্টো তাকে বেধড়ক মারপিট করে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন এ ঘটনায় অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করছে।