বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির মহোৎসব
যশোর প্রতিনিধি
🕐 ৯:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯
যশোরের বেনাপোল বন্দরে শুরু হয়েছে শুল্ক ফাঁকির মহোৎসব। দুর্নীতিপরায়ণ কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে এক শ্রেণির আমদানিকারক সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলেছে। বিজিবির হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েছে শুল্ক ফাঁকির বড় দুটি চালান। বিজিবির দাবি এই দুটি চালানের মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এই শুল্ক ফাঁকির ঘটনা তদন্ত করছে যশোর কাস্টমস। তারা বলছেন, বিজিবির ধরা পণ্য চালানে শুল্ক ফাঁকি ধরা পড়লে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ মার্চ যশোর বেনাপোল সড়কের নতুনহাট থেকে তারা বেনাপোল থেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে আসা একটি ট্রাক আটক করেন। এই ট্রাকে প্রায় তিন কোটি টাকা শাড়ি, কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিল। এই মালামালের আমদানিকারক বেনাপোলের স্নেহা এন্টারপ্রাইজ। গত ৩ মার্চ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এই মালামাল নিয়ে আসে। বন্দর থেকে এই মালামাল খালাস করায় আরবি ইন্টারন্যাশনাল। অভিযোগ রয়েছে, এই মালামালের যে শুল্কায়ন হওয়ার কথা সেই শুল্কায়ন করা হয়নি। আমদানি করা মালামালের প্রকৃত শুল্কায়ন না করে গোপন চুক্তিতে বন্দর থেকে এই মালামালের চালানটি বের করে আনা হয়।
এদিকে গত ১২ মার্চ ৪৯ বিজিবির সিও লে. কর্নেল সেলিম রেজার নির্দেশে নতুনহাট থেকে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করে। বিজিবির সিও জানান, এই কাভার্ডভ্যানেও প্রায় তিন কোটি টাকার মালামাল ছিল। যার মধ্যে- ভারতীয় বিভিন্ন শাড়ি, কাপড় ছাড়াও সাড়ে ৪০০ কেজি চন্দন কাঠ, ১ হাজার কেজি তেঁতুলের বিচির গুঁড়া। বেনাপোলের জেডএসএম এন্টারপ্রাইজ এই মালামালের আমদানিকারক। বিজিবির দাবি এই পণ্য চালান খালাসেও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।