ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পিয়াজ আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি

বিএম ফারুক ও আবুল বাশার, যশোর
🕐 ১০:০৮ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৮

সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারতীয় পিয়াজ আমদানির সুযোগ দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় ২০ টাকার পিয়াজ মূল্য বেড়ে এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী বিক্রেতাদের কারসাজির কারণে অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় রমজানে পিয়াজের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
সম্প্রতি যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০৬টি ভারতীয় ট্রাকে, ১০২টি কনসাইনমেন্টে ভারত থেকে ১০ হাজার ৭৫ টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। রমজান উপলক্ষে দিন দিন আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের নাসিক, হাসখালি, বেলেডঙ্গা ও খড়কপুর জাতের পিয়াজ। এদেশে নাসিকের পিয়াজের চাহিদা অনেক বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক ধরে পিয়াজ আমদানি হতো। তখন কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে কিনতে হতো সাধারণ ক্রেতাদের। পিয়াজের বাজারমূল্য ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০১৬ সালের রোজার আগে সরকার পিয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক কর প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর আর শুল্ক কর সংযোজন হয়নি। তবে সরকার শুল্ক কর প্রত্যাহার করে নিলেও অতিরিক্ত লাভে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকহারে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতি টন পিয়াজ আমদানি হচ্ছে ২০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ১৭ হাজার ১৫ টাকা। কেজিপ্রতি আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ১৮ টাকা। এলসি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত পিয়াজ পৌঁছাতে খরচ পড়ছে প্রতি কেজি ১৯ টাকা। আমদানি হওয়া পিয়াজ বন্দর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৩ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা ২৮ থেকে ৩০ টাকা।
আমদানিকারক ফিরোজ এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ উদ্দিন জানান, পিয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি হচ্ছে কম। এছাড়া গাড়িভাড়া বেড়েছে। খরচের ওপর নির্ভর করে দাম ওঠানামা করে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রোজার মধ্যে খাদ্য তালিকায় পিয়াজ অন্যতম। প্রতিবছর এ সময়টিতে সরকারের সঠিক প্রক্রিয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় পিয়াজের বাজার দাম বেড়ে যায়। এতে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।
বেনাপোলের মীম বাণিজ্য ভাণ্ডারের মালিক শুকুর আলী জানান, তারা প্রতিকেজি ভারতীয় পিয়াজ আমদানিকারকের কাছ থেকে কিনছেন ২৩ টাকায়। আর তা খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ২৫ টাকায়। গরমে অনেক পিয়াজ পচে যায়। এতে একটু বেশি দাম ধরতে হয়। আর ক্রয়ের ওপর নির্ভর করে দাম বাড়ে কমে।
ক্রেতা রোকসানা খাতুন বৃষ্টি জানান, প্রতিবছর রোজার আগে পিয়াজের বাজারদর বেড়ে যায়। দাম বাড়বে না বলে সরকার আশ্বাস দিলেও কাজ হয় না। অতিরিক্ত পয়সা কেবল সাধারণ ক্রেতাদের গুনতে হয়।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহমেদ রুবেল জানান, পিয়াজের ওপর শুল্ক কর না থাকায় রোজা উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে। আমরা বন্দর থেকে দ্রুত পিয়াজ খালাসের জন্য অফিসারদের নিদের্শনা দিয়েছি। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতদিনে ৩০৬টি ট্রাকে ১০২টি চালানের মাধ্যমে ভারত থেকে ১০ হাজার ৭৫ টন  পিয়াজ আমদানি হয়েছে। রমজান উপলক্ষে দিন দিন আমদানি আরও আড়ছে।

 
Electronic Paper