ঢাকা, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৭ চৈত্র ১৪২৯

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সম্পর্কে অবনতির কারনে মানসিক ভারসাম্যহীন হন ওই তরুনী!

আতাউর রহমান ইমরান, হবিগঞ্জ
🕐 ১২:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৩

সম্পর্কে অবনতির কারনে মানসিক ভারসাম্যহীন হন ওই তরুনী!

খুলনার রাস্তায় উদ্ধার হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ঈশিতার সাথে তার প্রেমিকের সম্পর্ক অবনতিকেই তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণ বলে দাবি করছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন হয়তো তার প্রেমিক তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে থাকতে পারেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

 

জানা যায়, ২০ জানুয়ারি খুলনার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় ইশিতা নামের ওই তরুণীকে। এ সময় মেয়েটি ছিল উদভ্রান্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। উই আর বাংলাদেশ সহ আরো কিছু ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা প্রচারণা চালিয়ে মেয়েটির মা-বাবার সাথে যোগাযোগ করে তাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

হাসপাতালে অবস্থানকালীন সময়ে মেয়েটি আর কিছু বলতে না পারলেও ইমু নামের একজনের নাম নেয়ায় বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমু নামের ছেলেটি ওই তরুণীর প্রেমিক যার পুরো নাম শেখ ইমু।

তিনি খুলনার আজম খান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র। তাঁর বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়ায়। পড়াশোনার জন্য ইমু খুলনা মহানগরীর দিলখোলা রোডে থাকেন। অনলাইনের মাধ্যমে বিড়াল বিক্রির ব্যবসা করেন তিনি।

তার পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেই মাস সাতেক আগে ইশিতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। সম্পর্কের
একপর্যায়ে বেশ কয়েকবার দেখাও করেন তারা।

উভয়ের মধ্যে পারিবারিকভাবে যোগাযোগ হয়। পরবর্তীতে একজনের মাধ্যমে ইমু জানতে পারেন ঈশিতার এর আগে বিয়ে হয়েছিল। ২০২০ সালে তিনি তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। তার আট বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

এসব জানার পর শেখ ইমু সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন ঈশিতার সঙ্গে। এ বিষয়ে শেখ ইমু জানান, পরিচয়ের শুরুতেই ঈশিতা বলেছিল তার বয়স ১৭ বছর। অথচ বর্তমানে তার বয়স ২৭। অপরদিকে তিনি ঈশিতার চেয়ে ৫ বছর বয়সে ছোট। তার আগে বিয়ে হয়েছে কিংবা বাচ্চা আছে এসব কিছুই ঈশিতা তাকে জানান নি।

এমনকি ঈশিতার মা ও এ ব্যাপারে কখনো কিছু তাকে বলেন নি। বরং এসব লুকিয়ে
রাখতে ঈষিতার বাবার সঙ্গে ইমু কে কখনো আলাপ করতে দেননি তারা। ঈশিতার সঙ্গে খুলনা এবং ঢাকায় তার একাধিকবার দেখা হলেও তাদের মধ্যে কোন শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।

ইশিতা তার সঙ্গে দেখা করতে এলে ঐদিনই তাকে ফিরতি ট্রেনে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতেন তিনি। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অমিত সাহার জানান ‘তরুণী ঈশিতা একটি মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

কয়েকদিন বিশ্রাম নিলে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ এখনো কিছু জানে না। উই আর বাংলাদেশ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এ বিষয়ে কাজ করা হয়েছে বলে জানালে তিনি জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল অবগত হয়েছেন। খোজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।

 
Electronic Paper