শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ
শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা
🕐 ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
রাত পেরিয়ে দিনের দেখা মিললেও মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার কোথাও রোদের দেখা মেলেনি। ফলে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে একদিকে যেমন জন জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। এক সপ্তাহ ধরে প্রায়ই চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড থাকায় এ জেলায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।
বেলা বাড়লেও মিলছে না সূর্য বা রোদের দেখা। গত ৩ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার।
গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩৫০ জন রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যা ধারণক্ষমতার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। এছাড়া হাসপাতালে বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়া রোগী অন্যতম।
শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরে গরম কাপড় পরিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। শীতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডার থেকে পাওয়া ২০ হাজার ১০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শিঘ্রই সেগুলো পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।
এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও সাড়া মিলবে বলে আশা করছি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ আবহাওয়া আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।