কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন
কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এক আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামি কুমারখালী উপজেলার পূর্ব লাহিনীপাড়ার মো. শাহাদত হোসেন ওরফে স্বাধীন (৪৭), ধর্ষণে সরাসরি সাহায্যকারী গৃহকত্রী পলাতক আসামি নুরুল ইসলাম ওরফে মন্টুর স্ত্রী বেদানা খাতুন (৫০) এবং তার স্বামী কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়ার জয়েন উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে মন্টু (৫৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর মাদ্রাসার সামনের রাস্তা থেকে চাচা সম্পর্কিত আসামি শাহাদত হোসেন স্বাধীন ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১৪) ফুসলিয়ে একটি অটোতে তুলে শহরের ৬নং কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের বাসিন্দা আসামি নুরুল ইসলাম ও বেদানা খাতুনের বাড়িতে নিয়ে গেলে তাদের এক কক্ষে রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেন গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী।
তাদের যোগসাজসে শাহাদত হোসেন স্বাধীন জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রী তার পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় স্বাধীনসহ তিনজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেই মামলা তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে তিনজনকে জড়িত অভিযোগে আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক লিপন সরকার।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, কুষ্টিয়া মডেল থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজা খাটতে হবে বলে বিজ্ঞ আদালত রায় দিয়েছেন।