খুলনার পিকচার প্যালেস সিনেমা হল, ব্যবসায়ীদের পথে বসার শঙ্কা
খুলনা ব্যুরো
🕐 ৮:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
একমাত্র দোকান হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কায় ভুগছেন নগরীর পিকচার প্যালেস সিনেমা হল বিল্ডিংয়ের ব্যবসায়ীরা। উচ্চআদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেট সম্পত্তি পিকচার প্যালেস সিনেমা হলের বিল্ডিংটি জবর দখলের চেষ্টায় এ পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন করে এ সংকট-সমস্যা উত্তোরণে প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, পিকচার প্যালেস সিনেমা হলের বিল্ডিংয়ে ১৬জন ব্যবসায়ী বহু বছর ধরে ব্যবসা করছি। এ সম্পত্তির ওপর মহামান্য হাইকোর্ট ও খুলনা জেলা জজ আদালতের স্থিতিঅবস্থার আদেশ রয়েছে। তাছাড়া গত বছর খুলনা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে, মামলাটি হাইকোর্টে চলমান। দানবীর হাজী মোহাম্মদ মুহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেট সম্পত্তির মালিক জেলা প্রশাসক।
তাই দোকানগুলো জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজারা নেবার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে, জমির মালিক দাবিদার মোহাম্মদ ফারুক ও শমসের মোহাম্মদ এখানের ব্যবসায়ীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও জীবননাশের হুমকিসহ নানা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ভবনটির ভিতর থেকে কৌশলে ভাঙচুর শুরু করেছে জবর দখলদাররা। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন নিরীহ ব্যবসায়ীরা। উচ্চআদালতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অবিলম্বে এ ভবনটি ভাঙচুর বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বক্তারা আরও বলেন, মহামারী করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন বছর ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম মন্দাভাবের কারণে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে কিছু স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই সারাজীবনের বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত দোকানটি হারানোর শঙ্কায় তারা। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যাংক ঋণও রয়েছে।
এ অবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি হারালে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে এসব ব্যবসায়ীদের। এমনি মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সংকট উত্তোরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ লাল, মোঃ সুমন হোসেন, এসএম মিজানুর রহমান, মোঃ আব্দুল আহাদ, মোঃ আমির হোসেন, মোঃ সালেহ আহম্মেদ, মোঃ জুয়েল হোসেন, মোঃ রাজু, মোঃ মাহবুব, মোঃ মাসুদ, মৃণাল কান্তি, মোঃ শাহজাদ, মোঃ খলিল ও মোঃ আক্তার হোসেন প্রমুখ।