বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের পাখির নয়নাভিরাম সংগ্রহ আছে এই তরুণের। লাভ বার্ড, ককাটিয়েল, বাজরিগার, ফিঞ্চ, ডায়মন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

কুষ্টিয়ার মিরপুর মিরপুর পৌরসভার বাজারে রানা ইসলামের ‘পাখি মেলা’ দোকানে আছে দৃষ্টিনন্দন অনেক পাখি। তার কথায়, ‘পাখি পুষে বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।

পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও প্রায় ৯বছর ধরে শখে পাখি পালন করেন রানা ইসলাম। বাজরিগার পাখি দিয়ে হয়েছিল শুরুটা। এরপর কেনেন ককাটিয়েল। দিনে দিনে পাখির বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার হলপাড়া এলাকার বাসিন্দা রানা ইসলাম বলেন, প্রথমে শখের সবে বাজরিকা পাখি থেকে শুরু করি। ধীরে ধীরে পাখির বংশ বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে বাজরিকা পাখি বিক্রি করে কর্কারটেল পাখি কিনি। এরপর ডিম বাচ্চা দিয়ে দিন দিন পাখির বংশ বৃদ্ধি পাই।

তিনি আরও জানান, বিদেশী প্রজাতির এই সব পাখির সুন্দর্যের কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি কেনার জন্য আমার কাছে অনেকে আসেন। কম খরচে অধিক লাভ হাওয়ায় পাখি পালনে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষত দেশী পাখি পোষা বন্ধ হাওয়ায় এই পাখিগুলোর চাহিদা বেড়েছে। আমার কাছে ৩শ’ টাকা থেকে ৭হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পাখি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শখের বসে পাখি পালন করলেও আমার মূল পেশা ছিলো রাজমিস্ত্রীর কাজ। কিন্তু করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় স্থানীয় বাজারে পাখির একটি দোকান দিয়েছিলাম। এখন ভালই চলছে পাখির দোকান। বর্তমানে আমার দোকান ও বাড়ি মিলে লক্ষাধিক টাকার পাখি রয়েছে। এই পাখি বিক্রি করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।

রানা ইসলাম বলেন, যদি কেউ পাখির খামার করতে চান তবে প্রথমে কম দামি পাখি দিয়ে শুরু করা ভালো। কারণ পাখি পালন এবং রোগ ব্যধি সম্পর্কে জানা লাগে। না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে।

পাখির রোগ সম্পর্কে জানান, এইসব বিদেশী প্রজাতির পাখির রোধব্যধি খুবিই সীমিত। যত্নে রাখলে এসব পাখির অসুখ খুব কম হয়।