ক্যামেরার পিছনের কারিগরদের দিনকাল...
ইলিয়াস হোসাইন রিফাত
🕐 ৩:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২২
ক্যামেরার পিছনে থাকা আরেক শিল্প ভিডিও সম্পাদনা অফুরন্ত ধৈর্য আর গবেষণায় ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নান্দনিকতার রূপে সবার মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তোলায় যাদের কাজ।
যিনি বহু বছর ধরে রাজত্ব করে আছেন মিডিয়া পাড়ায় খুব পরিচিত ভিডিও সম্পাদক এম এ রশিদ সমসাময়িক মিডিয়া সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে কথা বলছেন- ইলিয়াস হোসাইন রিফাত।
খোলা কাগজ : কেমন আছেন এবং ভিডিও সম্পাদক এর কী কী গুন থাকা দরকার ?
এম এ রশিদ : আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি। আর গুণ বলতে কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা থাকতে হবে এবং সফলতা না আসা পর্যন্ত যারা চেষ্টা চালিয়ে যায়- বাধা, বিফলতা তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। আর সম্পাদকের গুনের কথা গুলো হলো-একজন সম্পাদকের অফুরন্ত ধৈর্য থাকতে হবে। হাজারো ভুল সংশোধনের উদ্যম থাকতে হবে। অসাধারণ পর্যবেক্ষন ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে এবং উপভোগ করতে হবে দেশি-বিদেশী সিনেমা, নাটক এবং বিভিন্ন টেলিভিশন দেখতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে থাকতে হবে। আলোচনা করতে হবে সেগুলো নিয়ে।
খোলা কাগজ : ঈদের এ সময়ের ভিডিও সম্পাদকদের ব্যস্ততা নিয়ে বলুন ?
খোলা কাগজ : ঈদের সময়তো দর্শনাথীদের আশাআঙ্খা এই সময়টা একটু বেশি থাকে। আর ঈদের সময় ভিডিও সম্পাদকরা নিজের ও পরিবারের কথা বাদ দিয়ে অন্যের চাওয়া পাওয়া ও বিনোদনের কথা চিন্তা করে হাজারো বাধা বিপত্তি পেরিয়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকেন। এমনও দেখা যায় কাজটি করতে গিয়ে ঈদের খুশিটাও পরিবারের সঙ্গে সময়মত ভাগা ভাগি করতে পারেন না । ভিডিও সম্পাদকদের ব্যস্তসময় পার করতে হয়।
খোলা কাগজ : নতুন ভিডিও সম্পাদকদের কাজের প্রতিবন্ধকতা কী ?
এম এ রশিদ : সবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আছে; আর এটা থাকবেই। যে জিনিস সহজে পাওয়া যায় কোনো বাধা থাকে না, ওই পাওয়ায়তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তাই জীবনে কিছু করতে হলে বাধা আসবেই। সেই বাধা ডিঙিয়ে সামনে যেতেহবে। যারা বাধা ডিঙিয়ে সামনে এসেছে তারাই সফল হয়েছে।
খোলা কাগজ : জীবনের সেরা অর্জন কোনটা মনে হয় ?
এম এ রশিদ : জীবনের সেরা অর্জন বলতে যখন নিজের কাজটা খুব জনপ্রিয়তা পায়, দর্শকের মন জয় করে তখনি মনে হয় কিছু একটা পেয়েছি। তবে এখনো অনেক কিছু করার বাকি । ভিডিও সম্পাদকদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করেছি “ ভিডিও সম্পাদক কল্যান সমিতি” ভিডিও সম্পাদনা এটি এমন একটি পেশা একসময় এসে শারিরিক ও মানসিক সব কিছু প্রতিবন্ধকতা ও অক্ষম হয়ে পরে থাকতে হয়। তাই এই ভিডিও সম্পাদক কল্যান সমিতি সবার পাশে থাকবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে এটাই আশাবাদী। আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হয়না। অনেক পুরস্কার পেয়েছি বহু সংগঠন থেকে সঙ্গে লাখো মানুষের ভালোবাসা তো আছেই।
খোলা কাগজ : কোন দুঃখ কি তাড়িয়ে বেড়ায় ?
এম এ রশিদ : সেটাতো তাড়া করে। মিডিয়া একটি মাত্র পেশা যেটি জীবনের স্বর্বশো দিয়ে নিজের যৌবন বিষর্জন দিয়ে অন্যের ভালো লাগাটা ও অন্যের দৃষ্টিনন্দন করে তুলে জুগ জুগ কাজ করে যাচ্ছে “ভিডিও সম্পাদক”রা কিন্তু কোন পত্রিকা বা মিডিয়া তাদের কাজের প্রতিফল ও ভালোমন্দ নিয়ে লেখার কেউ নেই। অথচ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা ও কাজ যা ঘিরেই দর্শার্থীরা আনন্দ ও বিনোদন বিবেচনা করা হয়। এটি মাঝে মাঝে তাড়িয়ে বেড়ায়।
খোলা কাগজ : আপনি বর্তমানে কোন টিভিতে কাজ করছেন ? আর সেখানে কাজের মান কেমন ?
এম এ রশিদ : আমি বর্তমানে দুরন্ত টিভিতে সিনিয়র ভিডিও সম্পাদক হিসেবে আছি। আর দুরন্ত টিভিতে কাজের মান বললে কি বলবো- বাংলাদেশে একটি মাত্র টিভি চ্যানেল ১-২ মাসের মধ্যে টিআরপি ১ নম্বরে এসেছে। এখানে প্রতিটি কাজ প্রচুর গবেষনা করতে হয়। শিশুদের জন্য অনুষ্ঠানমালা সাজালেও পরিবারের সকলের জন্যই চিন্তা চেতনায় এক একটি অনুষ্ঠান মালা তৈরি হয়।
খোলা কাগজ : এত ব্যস্ততার মাঝে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এম এ রশিদ : আপনাকে ও খোলা কাগজ পরিবারকে ধন্যবাদ।