ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকিং সেবায় গুরুত্ব দিতে হবে

টাকার বাজার ডেস্ক
🕐 ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১

রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকিং সেবায় গুরুত্ব দিতে হবে

করোনাকালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অবস্থা যখন বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪/১৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স ২৪/২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান তিন ভিত্তির অন্যতম প্রবাসী আয়। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ায় এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়বে। চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় মাসের অর্ধেক মাসের রেমিট্যান্স প্রবাহে সে লক্ষণ কিছুটা ফুটে উঠেছে। এ বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খোলা কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাফর আহমদ

করোনাকালে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ বেশি। বলা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি যত স্বাভাবিক হবে রেমিট্যান্স প্রবাহ ততটা কমে যাবে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সঙ্গে উল্টো ফলের কারণ কী?
গত বছর প্রতি মাসে গড়ে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছর এই যে ইতিবাচক ধারা সূচিত হয়েছে, এটা বুঝতে হবে কেন এটা হলো। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, বছরে মোট রেমিট্যান্স ফ্লো যেটা হয়েছে ফরমাল ও ইনফরমাল- এ দুটো মিলে আমাদের প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এটা কি ইনফরমাল ফর্মালে রূপান্তর হয়েছে, নাকি আসলেই বেড়েছে? মোট রেমিট্যান্স প্রবাহে ইনফরমাল মিলে বেড়েছে, নাকি জাস্ট ফরমাল সেক্টরটাই বেড়েছে, ইনফরমাল সেক্টর কমে গেছেÑ সেটা আগে দেখা প্রয়োজন।

সানেমের একটি সার্ভে দেখা গেছে হাউসহোল্ড পর্যায়ে রেমিট্যান্স বাড়েনি। কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতির বিবেচনায় বেড়েছে। পরিবারকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যাদের পরিজন বাইরে আছে তাদের পাঠানো অর্থ আগের তুলনায় কেমন পাচ্ছেন? সেখানে উত্তর এসেছে কোভিড-১৯ এর আগের তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে। এটার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাখ্যা হলো করোনা পরিস্থিতিতে আগে যেটা ইনফর্মাল আসত সেটা করোনকালীন এই সময়ে ফর্মাল সেক্টরের মাধ্যমে আসছে। সেক্ষেত্রে ফর্মাল সেক্টর বেড়েছে। মোট রেমিট্যান্স এবং হাউসহোল্ড পর্যায়ে একই রকম রয়েছে। কোভিডকালে এটা হওয়ারই কথা।

এখন সেটার কোনো রেজুলেশন পাওয়া যায়নি। ধরুন এর আগে ফর্মাল ও ইনফমাল মিলে যে সমস্ত হিসাব-নিকাশ করা হতো তা বিভিন্ন সংখ্যার ভিত্তিতে। কর্মরত প্রবাসীর সংখ্যা, তাদের বার্ষিক আয়, কতটা সঞ্চয় করেন, সঞ্চয় থেকে কতটা দেশে পাঠান-সেগুলো থেকে আগে যেমন ১৪/১৫ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাত। বিশেষজ্ঞদের মতে ফর্মাল-ইনফর্মাল মিলে সেটা ৩০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাব করোনার আগের। ১৪/১৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স করোনা পরিস্থিতির কালে ২৪/২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছল। এর কারণ যদি বের করতে চান তাহলে দেখবেন গত বছরের জুলাইয়ের ২.৬ বিলিয়ন এসেছিল। ওই সময়ে তো অনেকে ফিরে আসছেন। সরকারি হিসাবেই কয়েক লাখ মানুষ ফিরে এসেছিল। সেখানেই একটি তথ্য ছিল- ফেরত আসার সময়ে তারা তাদের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে এসেছেন। আর যারা আসার অপেক্ষায় ছিলেন তারা সঞ্চিত অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা ছিল একটি দিক।

আর দ্বিতীয়টি ছিল হন্ডি মার্কেটের মাধ্যমে সে ট্রানজেকশন হতোÑসেই হন্ডি মার্কেট ট্রাভেলের ওপর নির্ভর করে। এবং বিদেশে যাওয়া শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে। কারণ একটা হুন্ডি মার্কেটের ডলারের চাহিদা ছিল তা মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্সদের কাছে থেকে ডলার কিনে নিয়ে পূরণ করা হতো। সেটার একটি বড় সোর্স ছিল ভিসা বাণিজ্য। সৌদি আরবে একটি দালাল চক্র আছে তাদের টাকা দিতে হয়। সেই টাকা থেকে সেখানকার কোম্পানির কাছে থেকে ডলার দিয়ে তা কিনে। দেশে আরেকটি দালাল চক্র আছে এরা বাইরার মাধ্যমে কাজ করে। ভিসার জন্য বিদেশে পেমেন্ট করতে হয় সেটা বৈদেশিক মুদ্রাতে পরিশোধ করতে হয়। রামরুর হিসাব অনুযায়ী কম বেশি ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার দিতে হয়। ওইটা তো গত বছর যাওয়া বন্ধই হয়ে গেছে। এক বছর পরও কিন্তু আগের মত লোক যাওয়া শুরু হয়নি। আগে খুব খারাপ বছরে ৩-৪ লাখ লোক বিদেশে যেত। ভালো বছরে তো ৮-১০ লাখ লোক বিদেশে যেত। গত বছর জুলাই-আগস্ট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তারপর কিছু যাওয়া শুরু হয়েছে। এখন বোধ হয় একÑদেড় লাখ মতো হতে পারে। ভিসা ট্রেডের মাধ্যমে যারা টাকা পাঠাত তাদের তো এখন টাকা পাঠাতে হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। করোনাকালীন ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়া অন্য চ্যানেল পাচ্ছিল না, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

অবৈধ পথ বন্ধ হওয়াতেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে?
হ্যাঁ। আরও আছে। হুন্ডি ব্যবসার আর একটি দিক ছিল ব্যাগেজ রুলের আন্ডারে ই-ম্পোর্ট। এটাতে যেটা করত ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুর, দুবাই, কাতার, মালয়েশিয়াতে যেত। সেখান থেকে হাইভ্যালু আইটেম কিনে আনত। এয়ারপোর্ট দেখা যায় বড় লাগেজ আসছে। এসব লাগেজ কস্টটেপ দিয়ে লাগানো। এসব ব্যবসায়ী বিদেশে গিয়ে কিছু মালামাল কিনে। এগুলো কেনার জন্য মাইগ্রান্ড ওয়ার্কার্সদের কাছে থেকে ডলার নেয়। তারপর দেশে এসে তাদের ওই পণ্য বিক্রি করে তাদের পরিবারের কাছে টাকা ফেরত দিত। ব্যাগেজ রুলের আন্ডারে যেসব পণ্য অ্যালাউড সে সব পণ্য নিয়ে আসে।

এখানে বিনিয়োগ বলতে একটি বিমানের টিকিট আর বিদেশে গিয়ে থাকা। অনেকে বিদেশে গিয়ে আত্মীয়স্বজনের কাছে গিয়ে থাকে। করোনার কারণে এই ট্রাভেলটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর আন্ডারইনভয়েজিং নেই, যেগুলো ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য করা হয়। আন্ডার ইনভেয়েজের ক্ষেত্রে ধরুন একজন একটি গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে ১ হাজার ডলার দিয়ে একটি গাড়ি কিনল। কিন্তু ওই গাড়ির দাম দেখানো হলো ৮০০ ডলার। বাকি ২০০ ডলার তো পেমেন্ট করতে হবে। এজন্য তাকে ডলার কিনতে হবে। আর এই ডলার আসত মাইগ্রান্ড ওয়ার্কার্সদের কাছে থেকে, হুন্ডি মার্কেট থেকে। করোনার মধ্যে এ সবই বন্ধ হয়ে গেছে। যেহেতু ইম্পোর্ট কমে গেছে। করোনার মধ্যে ওই টাকাটা ফর্মাল চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এটারই একটি বড় সম্প্রসারণ ছিল-এটা এক নম্বর। আর দ্বিতীয়ত হলো- আসার সময় সঞ্চয় নিয়ে আসা; তৃতীয়ত, হুন্ডি মার্কেট; চতুর্থত, দেশে মানুষের আয় কমেছে। সে জন্য বিদেশে থেকে দেশে পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠিয়েছে।

হুন্ডি মার্কেট যেটা হলো- এক দেশে থেকে অন্য টাকার যাওয়ার কথা বলা হলেও টাকা যায় না। যায় টাকার হিসাব। বর্ডার ক্রস করে না। এখানে একজন টাকা দিয়ে দিচ্ছে। বাইরের দেশে একজন আরেকজনকে ডলার দিয়ে দিচ্ছে। ফর্মাল মাধ্যমে আসা অর্থ হলো কিন্তু রেমিট্যান্সটা বর্ডার ক্রস করছে। এ কারণে রিজার্ভে তথা ম্যাক্রো ইকোনমিতে একটি ইম্প্যাক্ট আছে। ফ্যামিলিতে ইম্প্যাক্ট নেই বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে জোগান বাড়ছে।

এখন বৈশ্বিক অর্থনীতি যদি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়, যদি ট্রাভেল চালু হয়ে যায়। অর্থাৎ বাণিজ্য ও ভ্রমণ যদি চালু হয়ে যায় তাহলে হন্ডি মার্কেট আবার চাঙ্গা হয়ে যাবে। তখন ফলাফলটা আবার উল্টা হবে।

তাহলে হন্ডি মার্কেটে কেন যায়, ওখানে রেট বেশি পাওয়া যায়। ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠালে ট্রান্সফার কস্ট আছে। বিশ^ব্যাংকের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ২০০ ডলার রেমিট্যান্স ট্রান্সফার করতে ৭ ডলার খরচ করতে হয়। মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো এ খরচ নিয়ে থাকে। হুন্ডি মার্কেটে গেলে এত খরচ হয় না। এ জন্য প্রবাসীরা হুন্ডি মার্কেটের দিকে যায়।

যদি আমদানি রপ্তানি শুরু হয়ে যায়, যদি ট্রাভেলিং শুরু হয়ে যায় সেক্ষেত্রে করোনার মধ্যে যে টাকাটা হুন্ডি থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা শুরু হয়েছে করোনা পরবর্তী তার পুরোপুরি হয়তো হুন্ডি মাধ্যমে ফিরে হয়তো যাবে না। তারপরও একটি পরিমাণ হুন্ডিতে ফিরে যাবে।

বৈধ চ্যানেল, যাকে আপনি ফর্মাল চ্যানেল বলছেন, প্রবাসি আয় সেই ফর্মাল চ্যানেলে আসতে বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
আর্থিক সেবার দিকে থেকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীদের টাকা দেশে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যেমন, সরকার ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক হয়তো আরও এক শতাংশ যোগ করেছে নিজেদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনার জন্য। করোনা-পরবর্তী ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা চালু রাখতে হবে। যাতে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে না গিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকায় পাঠায়। তারপর ডেবিট কার্ড ব্যবহার, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার, মোবাইল ফাইন্যান্সিং- নগদ, রকেট, বিকাশ-এর মাধ্যমে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। করোনা-পরবর্তীতে এগুলো ধরে রাখতে হবে। যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো অব্যাহত রাখে। এগুলো অব্যাহত রাখা গেলে করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে যে টাকা পাঠিয়েছেন করোনা-পরবর্তীতে কিছুটা ফিরে গেলেও পুরোপুরি ফিরে যাবে না। এ কারণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারকালীন ফরমাল সেক্টরে রেমিট্যান্স কিছু কমবে। তবে পুরোপুরি করোনার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম কারণে হলো বিদেশে মানুষ যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি। করোনাকালীন এ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। করোনা-পরবর্তী যদি আবার লোক যাওয়া শুরু করে তাহলে ওখান থেকে প্রবৃদ্ধিটা থাকবে। গড়ে এক কোটি থেকে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বিদেশে আছে। এক কোটিকে স্থিতি সংখ্যা বিবেচনা যদি ৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়, প্রধান যে পাঁচটি দেশে আমাদের দেশের মানুষ আছে সেখানকার যদি আয় বাড়ে, সঞ্চয় বাড়ে তাহলে তো বেশি টাকা পাঠাবে। দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আবার আরেকটি দিকও আছে, করোনাকালে দেশে পরিবার কষ্টে ছিল, বেশি টাকা পাঠিয়েছে। করোনা-পরবর্তী কষ্ট দূর হলে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া কমিয়ে দিতে পারে। সে দিক থেকে কমারও একটি প্রভাব থাকবে।

খুব তাড়াতাড়িই তাহলে আমরা রেমিট্যান্সে প্রবাহকে আগের জায়গায় ফিরে যেতে দেখব?
করোনাকালে ইনফর্মাল থেকে ফর্মাল-এ আসার যে ফ্যাক্টরটি কাজ করেছে করোনা পরবর্তিতে ফর্মাল মাধ্যমে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাটবে বলে মনে হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র যেমন বলছে আগের ধারণা অনুযায়ী সেখানে আগামী অক্টোবরে সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে না। স্বাভাবিক হতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত লেগে যাবে।

ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি খুব তাড়াতাড়ি যে স্বাভাবিক হবে এখন সেটা বলা যাচ্ছে না। ট্রাভেল এখনো স্বাভাবিক হয়নি, কবে হবে এখনো পুরোপুরি বলাও যাবে না। কাজেই করোনা পরবর্তী ফর্মাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স কমলেও যে বড় ধরনের ধস নামবে এমন মনে হয় না। কিন্তু অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সঙ্গে একটি উল্টো সম্পর্ক রয়েছে তথ্য-উপাত্ত সে কথা বলে। অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে ফরমাল সেক্টরে রেমিট্যান্সের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ততটা দুর্বল হয়ে যাবে।

http://www.kholakagojbd.com/money-market/84310

http://www.kholakagojbd.com/interview/84309

 
Electronic Paper