ক থা সা মা ন্য
মাধুরীর সঙ্গে কাজ করাটা আনন্দের
তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ১:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
সঞ্জয় দত্ত এখন তার ক্যারিয়ারের অন্যতম ব্যস্ত সময় পার করছেন। ‘সঞ্জু’সহ জীবনের বর্তমান অধ্যায় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ডিএনএ ইন্ডিয়া ডটকমের সঙ্গে। সে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। ভাষান্তর : তৌফিকুল ইসলাম
আপনি আগের চাইতেও বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন...
হ্যাঁ, আমি বাস্তবেও এমনটি চেয়েছিলাম। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আমি বেশ কয়েকটি বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এটি ভালো ছিল যে, আমি সময় নিয়েছিলাম এবং যে কোনো কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়িনি। তারপর ‘কলঙ্ক’র পর ‘শমসেরা’ মুভিটি এলো। হঠাৎ করে ‘সাদাক ২’ করা হলো মহেশ ভাট সাহেবের সঙ্গে। আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘পানিপথ’ও করা হলো। সম্প্রতি আমি ‘ভুজ : প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ ছবিতে সাইন করেছি। পাইপলাইনে এখনো অনেক মুভি আছে। যেভাবে কাজগুলো হচ্ছে, তাতে আমি সত্যি হ্যাপি।
সে ভুলগুলোকে কীভাবে দেখছেন?
আমি কোনো ছবিতেই নিম্নমুখী হইনি। যদিও আমার পছন্দের বিষয়গুলো খারাপ ছিল। আর জেল থেকে ফেরার পর দর্শক আমার কাছ থেকে সেগুলো আশাও করেনি।
যখন কলঙ্ক আপনাকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে ফিরিয়ে আনলো। এমনকি আপনার চরিত্রটিও দাঁড়িয়েছে, এটি দেখতে ভালো লাগছে...
বলরাজ চৌধুরী একটি গ্রেট ক্যারেক্টার। এ চরিত্রটি বর্ণনা করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গল্পটি মূলত একটি লাভ স্টোরি, যেখানে বরুণ দেওয়ান, আলিয়া ভাট এবং আদিত্য জড়িত ছিলেন। যাই হোক, বলরাজের গুরুত্ব রয়েছে সেখানে কারণ গল্পটি তার পরিবারকে ঘিরে। সব মিলিয়ে আমি সঠিক নির্দেশনায় মুভ করেছি এবং রোল প্লে করতে শুরু করেছি যা আমার বয়স ও এখন বর্তমানে যে পথে রয়েছি তার সঙ্গে তুলনীয় হবে। আমি ধারণা করেছি, জেলের অধ্যায় কমপ্লিট করার পর আমার অ্যাপ্রোচ ও পছন্দে ভিন্নতা আনতে হবে।
মাধুরী দীক্ষিত ও আপনি অনেক দিন পর একসঙ্গে কাজ করলেন...
হ্যাঁ, তার সঙ্গে কাজ করাটা আনন্দের (হাসি)। এমন কোনো সময় ছিল না যখন আমাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়নি, দুই দশক বা তার চাইতেও বেশি সময়। মাধুরী একজন গ্রেট অ্যাক্টর। আমি তার সঙ্গে অনেক মুভি করেছি।
থানেদার (১৯৯০), সজন (১৯৯১), খলনায়ক (১৯৯৩), মহন্ত (১৯৯৭)... আমি একবারে সব মনে করতে পারছি না। ‘কলঙ্ক’ মুভিতে তার সঙ্গে আবারও একই দৃশ্যে কাজ করা বিস্ময়করই বটে।
সে একজন অ্যাক্টর হিসেবেই এ কমান্ড পেয়েছে। অনেক বছর পর তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা সত্যি ভালো লাগার। অনেক কিছু অতীত হয়ে গেছে, দর্শক এখন পরিণত। সেও একজন পরিণত অ্যাক্টর হিসেবেই এসেছে।
বরুণ দেওয়ান ও রণবীর কাপুরের মতো তরুণ অ্যাক্টরদের আপনি কীভাবে গ্রহণ করেন? যাদের আপনি চোখের সামনে বড় হতে দেখেছেন...
আমি বরুণকে ছোট অবস্থায় দেখেছি। তার বড় ভাই রোহিতকেও ইয়াং বয় হিসেবে দেখেছি। তাদের বাবা পরিচালক ডেভিড দেওয়ানের সঙ্গে আমি অনেকগুলো মুভিতে কাজ করেছি। আমি যাদের বেড়ে উঠতে দেখেছি, তাদের মধ্যে এ আত্মবিশ্বাসটা দেখে ভালো লাগছে। এদের সঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্য আবেগপ্রবণ বিষয়। আমি এক্ষেত্রে খুব গর্ব অনুভব করি এবং ওদের সঙ্গে অভিভাবক সুলভ ভূমিকায় নিজেকে দেখতে পেয়েছি। এটা রণবীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
হ্যাঁ, রণবীর বলেছে সে আপনাকে আইডল হিসেবে মানে। সে এটা জানিয়েছে, রাজকুমার হিরাণীর বায়োপিক ‘সঞ্জু’ মুভিতে আপনার চরিত্রে কাজ করে সে অনেক ভাগ্যবান।
আমি জানি, রণবীর এটা আমাকে অনেকবার বলেছে। আমি তাকে আমার সামনেই বেড়ে উঠতে দেখেছি। এখানে এই বিষয়টি কাজ করেছে। সে আমার বাইকে চড়েছে, এখানে এক্সারসাইজ করেছে অথবা শুধু আমার সঙ্গে গল্প করার জন্য সময় কাটিয়েছে। আমি এ ছেলেটিকে ভালোবাসি।