শ্রাবন্তী আন্টি আমাকে সাঁতার শিখিয়েছেন
সাজ্জাদ হোসেন
🕐 ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৯
যদি একদিন সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র ছিল রূপকথা। এর এই রূপকথা চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন শিশুশিল্পী আফরীন শিখা রাইসা। যদি একদিন সিনেমার অভিনয় ও তার নিজের সম্পর্কে কথা বলেছেন সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে...
কেমন আছো কী করছো এখন?
সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি। মাত্র স্কুল থেকে ফিরে লাঞ্চ করে রেস্ট নিচ্ছি।
তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
আমি আজিমপুর গ্রিন লাইন মডেল স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ি।
যদি একদিন সিনেমা মুক্তির পর স্কুলে সবাই কেমন আচরণ করছে?
স্কুলে সবাই খুব ভালো আচরণ করেন। টিচার, স্কুলের বড়রা অনেক আদর করেন, বন্ধুরা সবাই আমার সঙ্গে ক্লাসে বসতে চায়। সবাই আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। আগেও সবাই আমাকে বেশ আদর করত, ভালোবাসতো কিন্তু যদি একদিন সিনেমা মুক্তির পর থেকে সেটা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
বাসায় কে কে আছে তোমার?
বাসায় আব্বু, আম্মু, বড় ভাইয়া, আর ছোট ভাই রেহান।
তুমি তো এখন স্টার, বাবা-মা কী একটু বেশি আদর করে?
(একটু হেসে) না। আমার বড় ভাই ক্লাস টেনে পড়ে, আর ছোট ভাই এখনো স্কুলে যায়নি। আমার চেয়ে ভাইয়া যত বড় ছোট ভাই আবার আমার চেয়ে ততটাই ছোট। তাই আমরা তিনজন বাসায় সমানে দুষ্টুমি করি। অভিনয় করার জন্য বাসায় আমাকে কেউ বেশি আদর করে না। আরও বলে তুমি এটা করো এটা করো না। তবে আমার তেমন কিছু মনে হয় না। যদি একদিন সিনেমা মুক্তির পর সব জায়গা থেকে আম্মুকে ফোন করে যখন বলে, আমি ভালো করেছি তখন বাবা-মা অনেক হ্যাপি হয়। এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগে।
তুমি এর আগে কয়টি সিনেমায় অভিনয় করেছো?
আমি এর আগে আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছি। ডুব এবং দহন। যদি একদিন আমার তৃতীয় সিনেমা।
এই সিনেমায় তুমি কীভাবে সুযোগ পেলে?
এর আগেও আমি বেশ কয়েকটি নাটক ও সিনেমায় ছোটদের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আম্মু জানালো তাহসান আঙ্কেলের সঙ্গে একটি সিনেমায় রূপকথা নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অডিশন দিতে যেতে হবে। সেখানে অনেকেই অডিশন দিয়েছিল (৪৭ জন) তাদের মধ্য থেকে আমাকে সিলেক্ট করা হয়।
যদি একদিন সিনেমার জন্য কোথায় কোথায় শুটিং করা হয়েছে?
বেশিরভাগ শুটিং ঢাকা এবং কক্সবাজারে হয়েছে।
শুটিং করতে গিয়ে কোনো মজার ঘটনার কথা আমাদের জানাবে?
শুটিং করতে গিয়ে অনেক মজার ঘটনাই আছে। তবে সবচেয়ে মজার ছিল যখন কক্সবাজারে শুটিং করতে যাই সেখানে শ্রাবন্তী আন্টির সঙ্গে আমি সুইমিংপুলে সাঁতার কেটেছি। এর আগে আমি সাঁতার কাটতে পারতাম না। আন্টি আমাকে সাঁতার কাটতে অনেক হেল্প করেছে। আমরা একদিন অনেকক্ষণ সাঁতার কেটেছিলাম। সেটা আমার অনেক মজা লেগেছিল। তারপর তাহসান আঙ্কেল আমাকে পুরো সময় অনেক আদর করেছে, সেটের সবাই সবসময় আমাকে অনেক টেককেয়ার করেছে। তাই পুরো সিনেমার শুটিয়ের সময়টা অনেক মজার ছিল।
তোমার অভিনয়ের শুরুর কথা মনে আছে?
হ্যাঁ, মনে আছে। তখন আমি কেজিতে পড়ি একটা অ্যাডে কাজ করেছিলাম সুপারস্টার এলইডি লাইটের। তারপর ক্লাস টুতে পড়ার সময় তিনটা নাটক করেছি, এরপর আরও ৬-৭টার মতো নাটকে অভিনয় করেছি।
বর্তমানে কী কাজ করছো?
বর্তমানে একটা সিরিয়ালের কাজ করছি। নাম ফ্যামিলি ক্রাইসিস, এ ছাড়া সামনে অনেক কাজ আছে সবগুলো আমি জানি না আম্মু জানে।
অভিনয় করার পর স্কুলে যেতে ভালো লাগে?
হ্যাঁ। স্কুলে না গেলেই আমার খারাপ লাগে। আমি অভিনয় করলেও খুব একটা স্কুল ফাঁকি দেই না। আমার যেদিন যেদিন ছুটি থাকে সাধারণত ডিরেক্টর আঙ্কেলরা সেভাবেই আমাকে ডাকে। আমি নিয়মিত স্কুলে যাই, ক্লাস করি পরীক্ষা দেই। একদিন কোনো কারণে স্কুলে যেতে না পারলে আমার খুব খারাপ লাগে।
অভিনয় করতে এসে কোনো পুরস্কার পেয়েছো?
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় তিশা আন্টি আর জাহিদ হাসান আঙ্কেলের সঙ্গে একটা নাটক করেছিলাম মাখন মিয়ার অদ্ভুত বউটা। সেই নাটকে অভিনয়ের পর আমি স্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম।
যারা তোমার অভিনয় দেখে এত প্রশংসা করছে আদর করছে তাদের উদ্দেশে কিছু বলো...
যারা আমার অভিনয় দেখে আমাকে পছন্দ করেছেন, আদর করেছেন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এত এত আদর, ভালোবাসা আমাকে সামনে আরও ভালো অভিনয় করার জন্য সাহস জোগাবে, অনুপ্রেরণা দেবে। আর সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।