ক থা সা মা ন্য
দর্শকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে চাই
সাজ্জাদ হোসেন
🕐 ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৯
বর্তমান সময়ের সম্ভাবনাময় মডেল ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন নিজের ক্যারিয়ারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেনকে
আপনার পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা কোথায়?
আমার পৈতৃক নিবাস মেহেরপুর। কিন্তু বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় আমার শৈশব কেটেছে। আমি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাবার বিভিন্ন কর্মস্থলে পড়াশুনা করেছি। তবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এসে হলিক্রসে ভর্তি হই। সেই থেকে ঢাকায় স্থায়ী বসবাস। স্কুল-কলেজ দুটাই হলিক্রস। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে বিবিএ করছি।
শোবিজে শুরুটা কীভাবে?
আমার শোবিজে আসা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তিন বছরে এয়ারটেল, রবি, ইগলু আইসক্রিম, প্রাণ, বিকাশসহ ইউনিলিভারের বেশকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। এরপর ২০১৭ সালে শাফায়েত মনসুর রানা ভাইয়ের আমরা ফিরব কবে নামের একটি নাটকের মাধ্যমে আমার অভিনয়ের সূচনা। তবে যদি প্রকৃত শুরুর কথা বলতে হয় তাহলে ২০১৮ সালের কথা বলতে হয়। এ বছর আমি ৭টির মতো নাটকে কাজ করেছি। গত ভালোবাসা দিবসে ইমরুল রাফাতের ফাস্ট ইয়ার ডেম কেয়ার-টু-তে কাজ করেছি, মুশফিক ভাইয়ার লাভ এন্ড লস্ট নামে আরেকটি নাটকে কাজ করা হয়েছে।
আপনার ভালোবাসা দিবসের নাটক এক্স বয়ফ্রেন্ড বেশ প্রশংসিত হয়েছে, কীভাবে দেখছেন?
হ্যাঁ, এক্স বয়ফ্রেন্ড নাটকের মাধ্যমে দর্শক আমাকে ভালোভাবে চিনেছেন। নাটকটিতে কাজ করার পর থেকে রাস্তাঘাটে যেখানেই যাই লোকজন বলেছে নাটকটি ভালো লেগেছে। সব মহল থেকে প্রশংসা পেয়েছি এটা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ভালো কাজ করার জন্য একটা দায়িত্ববোধ তৈরি করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে এক্স বয়ফ্রেন্ড আমার ক্যারিয়ারের একটি নবদিগন্তের সূচনা এনে দিয়েছে বলা যায়।
বর্তমান কী কী কাজ করছেন?
আগামীকাল (আজ রোববার) থেকে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে তাই আপাতত তেমন কিছু কাজ করছি না। তবে কয়েকটি বিজ্ঞাপনের কাজ হাতে রয়েছে। সেই সঙ্গে দুটি নাটকে কাজ করব আর চলতি মাসের শেষে খুব সম্ভব ২০-২৫ তারিখের দিকে কলকাতার জনপ্রিয় হৈচৈর জন্য একটি থিয়েটিক্যাল ড্রামায় কাজ শুরু করব। সেখানে নতুন চমক থাকবে।
দুই বাংলায় জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হৈচৈ-এ কাজ করছেন কেমন লাগছে?
হ্যাঁ অবশ্যই এটি একটি নতুন অনুভূতি। প্রথমবারের মতো একটি ওয়েব থিয়েটিক্যাল ড্রামায় কাজ করব এতে আমি খুবই এক্সাইটেড। আশা করছি, কাজটি ভালোই হবে।
অনেক নায়ক-নায়িকাই ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন, এটা কি সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছে জন্য বিকল্প প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করেন?
না, আমি মোটেই তা মনে করি না। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হয়তো আরও জনপ্রিয় হবে, ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয় হবে তবে তা কখনই সিনেমা হলের স্থান দখল করতে পারবে না। সিনেমা হলে শুধু সিনেমা দেখার জন্য মানুষ যায় না। সিনেমা হল পারিবারিক আউটিংয়ের একটা বিশেষ স্থান। অবসরকে স্মরণীয় করে রাখবার মতো বিনোদনকেন্দ্র। অনেকেই ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন কারণ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে খুব সহজে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। তা ছাড়া ওয়েব সিরিজে ভালো গল্প থাকে, নিজের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা যায় সহজে। কিন্তু সিনেমা হল কোনো অ্যাপ কিংবা অন্য কিছুই সেই অনুভূতির জায়গাটি দখল করতে পারবে না।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে কি না?
ভালো গল্পের চলচ্চিত্রে কাজ করার অফার পেলে অবশ্যই কাজ করতে চাই। দু’একটি ছবিতে কাজ করার অফার পেয়েছি, কিন্তু গল্প ও চরিত্র পছন্দ হয়নি জন্য এখনো কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তবে ভালো গল্পের সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে আছে।
আপনাকে বর্তমান সময়ের সম্ভাবনাময়দের মধ্যে অন্যতম ভাবা হচ্ছে কীভাবে দেখছেন?
আমি এখনো অভিনয়ে শিক্ষানবিস। কিন্তু এর মধ্যেই দর্শক আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এ জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার এই গ্রহণযোগ্যতাকে আমি কাজে লাগাতে চাই। তবে যখন কেউ প্রশংসা করে তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা চাপ কাজ করে, তবে সেটি অবশ্যই ইতিবাচক চাপ। ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলা যায়। তবে বুঝতে পারছি, দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান?
দর্শকদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন ভালোভাবে নিজেকে আপনাদের মাঝে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারি। আমাকে, আমার কাজকে ভালোভাবে গ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।