ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভারতে তীব্র বেগে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৮

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। এ সময় এর বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড হয়েছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ওড়িষ্যার কাছাকাছি গোপালপুরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া দফতর। প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা ভূমিধস হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোপালপুর এবং বার্হামপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে ‘তিতলি’র প্রলয়নৃত্যের খবর দেয় স্থানীয় ও কলকাতাভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘোরাফেরা করা গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর আরো জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে আঘাত হানার সময় ‘তিতলি’র গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে, সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

দুযোর্গের কারণে জরুরি বৈঠকে বসেছেন ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কেন্দ্রাপড়া ও জগৎসিংহপুর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ওড়িষ্যার চার জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিতলির প্রভাবে শুক্রবার গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপড়া, খুরদা, নয়াগড়, কটক, জাজপুর, ভদ্রক ও বালেশ্বরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবারও ওড়িষ্যার উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় ওড়িষ্যার প্রতিটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। মুখ্য সচিব এ পি পাধি জানিয়েছেন, দুর্যোগে একজনেরও যেন প্রাণহানি না হয়, তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য। বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিপি শেট্টি জানিয়েছেন, বিপজ্জনক ও নিচু এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩শটি মোটর বোট। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬টি দল, ওড়িষ্যার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ১১টি দল ও দমকল বাহিনী তৈরি রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল সেবা ব্যহত হচ্ছে।

 
Electronic Paper