ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কোভিড-১৯

ভারতে দৈনিক শনাক্ত কমেছে, বেড়েছে মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১২:০৭ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২১

ভারতে দৈনিক শনাক্ত কমেছে, বেড়েছে মৃত্যু

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতের অবস্থা যেন দিনকে দিন আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে দেশটিতে প্রতিদিনই রেকর্ডসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছেন। যেনো পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর সারি, আক্রান্তও হচ্ছে লাখে লাখে। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও রয়েছে চার হাজারের পাশাপাশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। তবে আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণ কিছুটা কমে নেমে এসেছে সাড়ে তিন লাখের নিচে।

মঙ্গলবার (১১ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৪২ জন। যা সোমবারের তুলনায় প্রায় ৩৭ হাজার কম। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ জনে।

এদিকে গত শনিবার ও রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যু ছাড়িয়েছিল ৪ হাজারের গণ্ডি। তবে সোমবার সেই সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে এলেও মঙ্গলবার ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৬ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ জনে।

এছাড়াও ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগী কমেছে প্রায় ২৯ হাজার। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ১৫ হাজারের বেশি।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুসারে, করোনায় একদিনে চার হাজারের বেশি মৃত্যু দেখা তৃতীয় দেশ ভারত। এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে একদিনে এত বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 
Electronic Paper