বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে গবেষকদের চ্যালেঞ্জ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৬, ২০২০
বাতাসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রশ্নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিশ্বের ২৩৯ জন গবেষক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে লেখা এক খোলা চিঠিতে ওই গবেষকরা বলেছেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় বাতাসে ভেসে থাকার মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে; ডব্লিউএইচও সে ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
লসঅ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ও ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন করোনাভাইরাসের দুই ধরনের সংক্রমণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। একটি হলো আশপাশের কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা (ড্রপলেট) শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে যাওয়া। আরেকটি হচ্ছে কোনো কিছুর দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যারোসলের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করা হলেও বলা হচ্ছে, এটি কেবল ইনটিউবেশনের মতো চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় ছড়াতে পারে। তবে তাদের মতামত চ্যালেঞ্জকারী গবেষকরা একাধিক গবেষণার সূত্রে বলছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বা অ্যারোসলকণা দীর্ঘ সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
ওই বিজ্ঞানীদের মতে, যেসব ঘরে আলো-বাতাস কম; কিংবা বাসসহ অন্যান্য বদ্ধ জায়গার ক্ষেত্রে এর প্রভাব বেশি মারাত্মক হতে পারে। এমনকি এসব জায়গায় ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব রেখেও কোনো লাভ হয়না। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞান এবং পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লিডিয়া মোরাউসকা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে গবেষকরা একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, যাতে জাতিসংঘের এ সংস্থাকে এ ঝুঁকি সম্পর্কে যথাযথ সতর্ক করতে ব্যর্থ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই চিঠিতে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন গবেষক স্বাক্ষর করেছেন। আগামী সপ্তাহে একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এটি প্রকাশ হতে পারে।