আম্পানে পশ্চিমবঙ্গ তছনছ, নিহত ৭২
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, মে ২২, ২০২০
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ তছনছ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিধ্বস্ত কলকাতাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। ল-ভ- কলকাতা বিমানবন্দরও। ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জরুবি পরিসেবা ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ঝড়ে রাজ্যে অন্তত এক লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একের পর এক জেলা থেকে বিপর্যয়ের খবর শুনে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আহ্বান জানান মমতা। মোদি জানিয়েছেন, গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় আম্পান পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। ঝড়ের তা-বে কার্যত বিধ্বস্ত রাজ্য। তছনছ হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতি ছিল আম্পানের। কোথাও আবার এর গতি উঠেছিল ১৮৫ কিলোমিটার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মমতা বলেন, পুরোটা বাংলার ওপর দিয়ে গেল। করোনার জন্য অর্থনীতির অবস্থা শেষ। তার পর এই দুর্যোগ। কোনো রোজগার নেই। পুনর্গঠন করতে অনেক টাকা লাগবে।
দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন ৫ লাখ মানুষকে সরাতে পেরেছে। ১৭৩৭ সালে এমন ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিল। ওয়ার রুমে বসে আছি আমি। নবান্নে আমার অফিস কাঁপছে। একটা কঠিন পরিস্থিতির যুদ্ধকালীন মোকাবিলা করলাম।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে আম্পান যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখেছি। এই সংকটময় মুহূর্তে গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হবে বাংলাকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছে। শীর্ষ আধিকারিকরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে চেষ্টার কোনও কসুর করা হবে না।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাকে সব রকম সহযোগিতার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি ভালোভাবে নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছি।