করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ২৭০১, চীনে ২৬৬৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ভয়াবহ আকারে রূপ নেওয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চীনসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা মোট দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০১ জনে। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮০ হাজার ১শ ৫০ জন। এখন পর্যন্ত ২৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনার অধিকাংশই চীনের মূল ভূখণ্ডে।
চীনে নতুন করে আরও ৫শ আটজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি এবং ইরানে এখন যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আজ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন উহান ফেরত ৩১২ জন বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুরে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিবারকে ১০ হাজার ডলার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে দেশটির বেসরকারি সংস্থা।
চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৮ জনই হুবেই প্রদেশের উহান শহরের।
অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আরও ৬০ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮শ ৯৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮ জন।
এদিকে, জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই প্রমোদতরীর চারজন প্রাণ হারিয়েছে। দু’সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের ভাষায়, কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবকে তখনই বিশ্ব মহামারি বলে ঘোষণা করা হয় যখন এটি একই সঙ্গে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চীনের বাইরে আরও ২৬টি দেশে প্রায় দেড় হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চীনের বাইরে মারা গেছে ২০ জন। আক্রান্তদের এক থেকে দুই শতাংশের প্রাণহানি ঘটছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সঠিক হার আসলে এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ইতালিতে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে ইতালিতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ রোববার মিলানের লোম্বারদিয়া অঞ্চলের ক্রেমনা প্রভিন্সে এক নারীর মৃত্যু হয়।
ইতালির গণমাধ্যম জানায়, দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সোমবার থেকে লোম্বারদিয়া, ভেনেতো, পিওমন্তে ও ভেনেসিয়াসহ চার অঞ্চলে সব স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গির্জা, সিনেমা, ফুটবল লীগ, নাইট ক্লাব ও জাদুঘর বন্ধ করা দেয়া হয়।
এছাড়াও বাতিল করা হয়েছে ভেনিস কারনেভাল উৎসব। ইতালি সরকার আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। পাশাপাশি আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়। ইতালিতে প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। করোনাভাইরাসের ফলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহান থেকে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৯টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।