ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশকে চাপ দেওয়ার আহ্বান মার্কিন সিনেটরের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৪:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশকে চাপ দিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রভাবশালী একজন মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি। তিনি আইনপ্রণেতা ট্রাম্প প্রশাসনের চতুর্থ শীর্ষ ব্যক্তি। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পরই তার অবস্থান। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলীয় এ রাজনীতিক এ পর্যন্ত ৭ বার সিনেটর হয়েছেন।

এক লিখিত বিবৃতিতে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের মুখে থাকা’ ব্যক্তিদের সহায়তা দিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চাক গ্রাসলি। কর্মক্ষেত্র ও পরিবেশ উন্নয়নের মতো একইভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়েও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে চাক গ্রাসলি বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে বসবাসরত রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশের যেসব নাগরিকরা তাদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন তাদের সহায়তা দেয়।

বিবৃতিতে চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের নামও উল্লেখ করেন প্রভাবশালী এই মার্কিন সিনেটর। দেশ তিনটির বিরুদ্ধে তাদের নাগরিকদের ধর্ম পালনের অধিকারে বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ তোলেন তিনি।

তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং এ সম্পর্কিত মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে ব্লাসফেমি আইন। এটি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। উগ্রপন্থীদের নিন্দাকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস কাজ করতে উৎসাহিত করে।

চাক গ্রাসলি মার্কিন সিনেটের শক্তিশালী ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নয়টি দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপারে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ধর্মীয় স্বাধীনতার পদ্ধতিগত, চলমান ও গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দেশগুলোকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতার মারাত্মক লঙ্ঘনে জড়িত বা এমন ঘটনা সহ্যকারী দেশগুলোর ব্যাপারেও একটি ‘বিশেষ নজরদারি তালিকা’ প্রণয়ন করা হয়।

চাক গ্রাসলি তার বিবৃতিতে যেসব দেশের নাম নিয়েছেন তার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া বাদবাকি দেশগুলো ওপরের দুই তালিকার অন্তত যে কোনও একটিতে ছিল। কিন্তু কোনও তালিকাতেই বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

গত বছর আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন কমিশন দেশটির পররাষ্ট্র দফতরকে সুপারিশ করেছিল তারা যেন ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে টায়ার-২ তালিকাভুক্ত করে। এছাড়া পাকিস্তানকে টায়ার-১ সিপিসি তালিকায় রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

চীন সম্পর্কে সিনেটরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিপীড়নমূলক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।’ তিনি চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকগুলির পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তাকে যুক্ত করে চীনা নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

চাক গ্রাসলি বলেন, ‘আমরা মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান জানাতে চীনা নেতাদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের একটি কেন্দ্রীয় অংশ হওয়া উচিত।

 
Electronic Paper