ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মহামারীর রূপ নিল করোনাভাইরাস, চিনে ৪১ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাসে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৮৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪১ জনই মারা গেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, কর্তৃপক্ষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে এমন এক হাজার ৭২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। চীনের মধ্যাঞ্চলীয় উহান নগরীতে প্রথম এ ভাইরাস দেখা দেয়। আর এখানেই আবার নতুন করে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হলো।

এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন ঘোষণা দেয়ার মাত্র এক দিনের মাথায় মৃত্যুর বর্ধিত এ সংখ্যা প্রকাশ করা হলো।

এদিকে চীনে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি চলাকালে এ ভাইরাসটি দেখা দেওয়ায় মামুষের মধ্যে নানা রকম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যেখানে নববর্ষের ছুটিতে চীনের কোটি কোটি মানুষ দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরতে যায় সেখানে এখন অন্য পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এমন অবস্থায় এই ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে কারণে নববর্ষের অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে প্রদেশের উহান শহরে সব বাস, মেট্রো এবং ফেরি চলাচল বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শহর থেকে ছাড়া সব বিমানের ফ্লাইট ও রেল সেবাও বাতিল হয়েছে। ইঝু শহরে রেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ইনসি শহরে সব বাস সেবা বাতিল করা হয়েছে।

যারা উহান শহর থেকে ফিরেছেন তাদের অন্তত ১৪ দিন বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং ও সাংহাই কর্তৃপক্ষ। এই ভাইরাস যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উহান শহরে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস। চান্দ্র নতুন বর্ষ হিসেবে এই সময়টাতে লাখ লাখ চীনা নাগরিক ঘুরে বেড়ান। উহান শহরের বাসিন্দারা এবার আটকা পড়ে গেছেন।

এর আগে ২০০২-০৩ সালে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় সার্স ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ওই সময়ে চীন ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে বিশ্বে প্রায় আটশ' মানুষের মৃত্যু হয়। এবারে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ভাইরাসটির উৎপত্তিও চীন থেকে। দেশটির উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটির উপস্থিতির খবর দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ম্যাকাও এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকেও পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির প্রাথমিক উৎস প্রাণী হতে পারে। তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি এই ভাইরাস ছড়ানোর সঙ্গে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারের সম্পর্ক রয়েছে। করোনা ভাইরাস ঠেকানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো। ভাইরাসটিকে ২০১৯-এসসিওভি নামে ডাকা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে।

 

 

 

 
Electronic Paper