ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সংলাপ চান রুহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০

ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের চলমান উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা যুদ্ধ এড়াতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সংলাপ চাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। বৃহস্পতিবার এক ভাষণে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও তা সম্ভব। ‘যুদ্ধ কিংবা সামরিক সংঘাত প্রতিরোধে’ তেহরান প্রতিনিয়ত কাজ করছে। সেই লক্ষ্যেই চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার ভারত সফর করছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। খবর এএফপির।

বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন জারিফ। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে কথা হয়।

দুই নেতাই আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং চবাহর বন্দর নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। এর আগে ভারতের এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রাখতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে রুহানি তার ভাষণে আরও বলেছেন, বিশ্বের শক্তিধর ছয় রাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের করা চুক্তির আগে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছিল তেহরান, এখন তার চেয়েও বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।

ইরানের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তেহরানঘনিষ্ঠ ভারতকে পাশে চায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আমেরিকা-ইরানের সঙ্গে যতটা সম্ভব ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে চায় ভারত। ভারতের কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে এমনটা জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরেনিয়াম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। চুক্তি অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। ওবামার আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বর থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যায় তেহরান। সবশেষ ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ওই চুক্তি পুরোপুরি না মানার ঘোষণা দেয় ইরান। কিন্তু এখন ইরান বলছে, আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির বিধিনিষেধ মানবে দেশটি।

 

 
Electronic Paper