সিরিয়ায় তুর্কি হামলা পাঁচ দিন স্থগিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠকে একটি অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এরপরও উত্তর সিরিয়ার রাস আল-আইন থেকে গোলাবর্ষণ ও বন্দুকযুদ্ধের মুহুর্মুহু ধ্বনি শোনা গেছে। কুর্দিশ বাহিনী সেনাদের ওই অঞ্চলটি থেকে প্রত্যাহারের শর্তে চুক্তিতে রাজি হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সেনাদের প্রত্যাহারে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরদোগানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর গত বৃহস্পতিবার ৫ দিনে অস্ত্রবিরতির কথা ঘোষণা করেন মাইক পেন্স।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অপারেশন পিস স্পিং’ স্থগিতের তারিফ করে বলেন, ‘এতে লাখ লাখ মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।’ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে গতকাল শুক্রবার এসব তথ্য জানা গেছে। কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘জাতিসংঘ চার্টার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে বেসামরিকদের সুরক্ষায় যেকোনও পদক্ষেপকে স্বাগত জানান মহাসচিব।’
এদিকে, পেন্স কুর্দি সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি) এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তারা অঞ্চলটি থেকে প্রত্যাহার করতে রাজি হওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাহিনীটির কমান্ডার মাজলৌম কোবানি জানান, কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো আপাতত রাস আল-আইন ও তাল আবায়াদ শহরে চুক্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখবে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, অভিযান শুরু হওয়ার পর অন্তত ৫০০ লোক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক রয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই কুর্দিশ। হামলা শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে তুরস্ক। ইউরোপীয় দেশগুলো আংকারার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।