অপারেশন পিস স্প্রিংয়ে জ্বলছে সিরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন পিস স্টিং’-এর প্রভাবে জ্বলছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক কুর্দি সদস্যসহ অন্তত ২০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। মর্গে স্বজনদের আর্তনাদে সিরিয়ার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
গৃহহীন হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। এরই মধ্যে তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ার রাস আল আইন শহর দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলজাজিরা প্রতিবেদন থেকে গতকাল এসব তথ্য জানা গেছে।
এমন অবস্থায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা স্থগিত রাখতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতি ফোন করে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত শনিবার পাকিস্তান এই হামলায় একাত্মতা জানালেও ন্যাটো জোট হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
এরই মধ্যে এই কুর্দিদের সঙ্গে তুরস্কের এই যুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াইপিজির সদস্য ও বেসামরিক মিলে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোয় তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারা পূর্বপরিকল্পিত অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই এমন ঘোষণা দেয় জার্মানি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, জার্মানি এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম তুরস্ককে দেবে না, যেটা তারা সিরিয়া অভিযানে ব্যবহার করতে পারে।
সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের অবস্থানস্থলে হামলা চালানো শুরু করে তুরস্ক। গত বুধবার ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে তুরস্ক দখল করে নিয়েছে সিরিয়ার রাস আল আইন শহর। তবে কুর্দিরা তুরস্কের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।