ইরান-সৌদি নতুন সংকট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কিছুদিন আগে সৌদি আরবের বৃহৎ দুই তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব। সে ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদিতে বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠায়।
তবে, গতকাল শনিবার পেন্টাগন সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদিতে মার্কিন সেনাসংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ উপলক্ষে সৌদি আরবে আরও ৩০০০ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বিবিসিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানিয়েছেন, সৌদি আরবে দুই স্কোয়াড্রন যোদ্ধা ও অতিরিক্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যাটারি পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে আরও তিন হাজার সেনা সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি জানান, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি, একটি থাড দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও একটি বিমান অভিযাত্রী শাখাসহ দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসপার আরও জানান, গত শুক্রবার সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ইরানের হামলার বিরুদ্ধে সৌদিকে সুরক্ষায় মার্কিন সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা খুবই পরিষ্কার যে, সৌদি আরবে সাম্প্রতিক হামলায় ইরান দায়ী। ইরান অস্বীকার করলেও এ যাবত যত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে এটাই প্রমাণ করে যে, ইরানই এই হামলা চালিয়েছে। এর আগেও মধ্যপ্রাচ্যে ১৪ হাজার সেনা বাড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই ৩ হাজারের মাধ্যমে অঞ্চলটিতে মার্কিন সেনা উপস্থিতি ৭০ হাজার পৌঁছাল। ইরানি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় অঞ্চলটিতে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের পাশে থাকবে তারা। সৌদির নিরাপত্তা জোরদার করতেই বাড়তি এই সেনা মোতায়েন।