ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নতুন যুগে ভারত-চীন

মোদি-শি বৈঠকে ওঠেনি কাশ্মীর

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯

ভারত ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন যুগের শুরু হয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে। আর বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে দুই দেশ।

গতকাল শনিবার ও আগের দিন শুক্রবার দু’দফা বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। চেন্নাই থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি সমুদ্রসৈকতের কাছে রিসোর্টে বৈঠকের পর দৃশ্যতই খুশি মোদি ও শি জিনপিং। তবে বহু আলোচিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কোনো কথাই ওঠেনি ওই বৈঠকে।

চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফর ঘিরে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন- কাশ্মীর, আকসাই চীন, অরুণাচল সীমান্ত, ডোকলাম, তিব্বত, দক্ষিণ চীন সাগর, জিনজিয়াং, উইঘুর, তাইওয়ান, হংকংসহ সাম্প্রতিককালের বিতর্কিত বিষয়গুলো মোদি-শি আলোচনায় কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সব কাঁটা দূরে সরিয়ে নিজেদের মধ্যে শুধু ব্যবসায়িক দিকটাই বড় করে দেখেছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতারা।

কেউ মন খারাপ করবেন বা সম্পর্ক খারাপ হয় এমন কোনো আলোচনাতেই যাননি মোদি-শি। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, চীনের উহানের শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও চীনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ককে জোরদার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। আর চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে (চেন্নাই কানেক্ট) দুদেশই পারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার রাতের বৈঠক সম্পর্কে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মোদির সুরে সুর মিলিয়েই বলেছেন, আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে বন্ধুর মতো। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে খুবই আন্তরিকভাবে। নতুন যুগ শুরু হলো দুদেশের সম্পর্কে।

কাশ্মীর নিয়ে কোনো অস্বস্তি যাতে মাঝপথে তৈরি না হয়, সে জন্য কোনো প্রশ্ন ওঠেনি মোদি-শি’র দুই দফার বৈঠকে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই বৈঠকের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে এবং দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে যে চাপ তৈরি করা শুরু করেছিল বেইজিং, তার থেকে বেরিয়ে কিছুটা খোলা বাতাস বইয়ে দেওয়া গেছে সম্পর্কে।

আপাতত কাশ্মীর নিয়ে কোনো বড় মাপের বিরোধিতা বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আসবে না- এমনটাই আশা করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্তার মতে, দ্বিপক্ষীয় স্বস্তিই হলো মমল-পুরম বৈঠকের মূল কথা। দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠককে চলতি পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জন্য বার্তাবহ বলেও মনে করা হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথম বৈঠকের আলোচনা প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে। যা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি। আর তা হয়েছে খুব উন্মুক্ত ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে। দুই নেতাই একে অপরের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন।

গত শুক্রবার বিকেলে চীনা প্রেসিডেন্ট ‘এয়ার চায়না বোয়িং ৭৪৭’ বিমানে চড়ে ভারতে আসেন। তাকে চেন্নাইয়ে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানিস্বামী। ভারত সফর শেষে নেপালের উদ্দেশে রওনা হন শি জিনপিং।

 
Electronic Paper