ভারতে একই পরিবারের সাতজন পিষে মারল বাস
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৯
গঙ্গা স্নান করে পূজা দেওয়ার উদ্দেশ ছিল। কিন্তু, মন্দির বন্ধ থাকায় গঙ্গার পাশে একটি রাস্তার ফুটপাথে ঘুমিয়েছিল সবাই। আর আচমকা ঘুমন্ত ওই মানুষগুলোকে পিষে দিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। মর্মান্তিক এ ঘটনার জেরে একই পরিবারের তিনটি শিশু ও চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে।
মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি পলাতক বাসচালকের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু দুই লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হাতেরাস এলাকা থেকে বুলন্দশহরে এসেছিল ওই পরিবারটি। রাতে গঙ্গা স্নানের পর নারাউড়া এলাকার একটি ফুটপাথে ঘুমিয়ে পডেছিল সবাই। পরিকল্পনা ছিল সকালে উঠে স্থানীয় মন্দির দর্শনের পর ফের বাড়ির রাস্তা ধরার। কিন্তু, তাদের সেই পরিকল্পনা আর বাস্তব রূপ পায়নি।
শুক্রবার ভোরে দ্রুতগতিতে আসা একটি বাস আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে পড়ে। তারপর সেখানে শুয়ে থাকা ওই পরিবারটির সাত সদস্যকে পিষে দিয়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে পড়ে। আর স্থানীয় লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাস থেকে নেমে পালায় চালক। এদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন শিশুসহ চার নারীর।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি পলাতক চালকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘাতক বাসে একদল তীর্থযাত্রী বৈষ্ণোদেবী থেকে ফিরছিল। আচমকা বুলন্দশহরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে চালক। এর জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।